নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামের দিঘলকান্দি গ্রামে স্বামী মারা যাওয়ার মাস না পেরোতেই দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (৪৫)। এদিকে নির্যাতিতা ওই নারীকে থানায় যেতে না দিয়ে ১৫ হাজার টাকায় আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে ওই নারীকে দেয়া হয় মাত্র দুই হাজার টাকা।
ওই নারী ও এলাকাবাসী জানায়, ওই বিধবা নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। গত বুধবার রাতে ওই তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। এ সুযোগে দিঘলকান্দি গ্রামের রাজাউল্লার ছেলে মোখলেসুর রহমান তার আরো দুই সহযোগীকে নিয়ে ওই বিধবার ঘরে ঢোকে। পরে ওই নারী ঘরে ঢুকলে তাকে ধর্ষণ করে তারা।
এ সময় ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মোখলেসকে আটক করলেও অন্য দুজন পালিয়ে যায়। পরে রাতেই ধর্ষিতার বাড়িতে বসে মোখলেসকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন গ্রামপ্রধানরা।
এ সময় বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা খান ওই নারীর হাতে মাত্র দুই হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে ঘটনার মীমাংসা করে দেন। এমনকি তাকে চাপ প্রয়োগ করে সকালেই বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তারা।
রোববার ওই নারী সাংবাদিকদের কাছে দুই হাজার টাকা পাওয়ার কথা ও চাপ প্রয়োগের বিষয়টি জানান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে অভিযুক্ত মোখলেসের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোস্তফা বিষয়টি জানেন বলে স্বীকার করলেও টাকা-পয়সা লেনদেন ও থানায় না যেতে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন আর রশিদ বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, সোমবার ধর্ষিতা বাদি হয়ে ধর্ষক মোখলেস ও মাতাব্বর বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা খানকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।