নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে বাজার মনিটরিং নিয়ে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় ।
ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালকগণ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসিকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হলো জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তিনি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর ভূমিকা সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানের পাশাপাশি ভোক্তা সাধারণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন অন্যতম।তিনি বলেন, দুই দলের বিতার্কিকদের বক্তব্য শুনে আমি অভিভূত। তিনি প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত এ বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সচেতন হবে ভোক্তা এবং সুরক্ষিত হবে ভোক্তার অধিকার এ আশাবাদ ব্যক্ত করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যের শুরুতে শোকের মাস আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি ব্যস্ততার মধ্যেও অনুষ্ঠানে সময় দেয়ার জন্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আয়োজনের জন্য ডিবেট ফর ডেমোক্রেসিকে এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা। ভোক্তারা যতদিন পর্যন্ত তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হবে ততদিন পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অধিদপ্তরের কাজের মূল্যায়ন এবং ক্ষেত্র বিশেষে সমালোচনা করা হবে। আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সমালোচনাকে স্বাগত জানাব কারণ সমালোচনা কাজের দুর্বল দিকগুলো দেখিয়ে দেয় এবং এই দুর্বল দিকগুলো নিরসনের মাধ্যমে অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।
মহাপরিচালক বর্তমান সমাজে বিদ্যমান ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজের স্বরূপ তুলে ধরে তা প্রতিরোধে অধিদপ্তরের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন। তিনি জানান, অধিদপ্তর মূলত ৩ ধরনের কাজ করে থাকে; প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম হিসেবে বাজার তদারকি, প্রতিকারমূলক কার্যক্রম হিসেবে অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং ভোক্তা সাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম।
মহাপরিচালক বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা। এই সচেতনতার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ এর অংশ হিসেবে অধিদপ্তর যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে।
অধিদপ্তরের নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, CCMS(Consumer Complaint Management System) এর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা এই পদক্ষেপেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সহজে স্বল্প সময়ে অধিকসংখ্যক ভোক্তাকে সচেতন করা যাচ্ছে।
তিনি ক্ষেত্র বিশেষে সময়ে সময়ে দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের পাশাপাশি আমদানিকৃত পণ্যের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানসহ পণ্যের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক ও খামারীদের স্বার্থ বিবেচনায় সময়ে সময়ে কিছু পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় আবার সে সকল পণ্য আমদানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। দেশের বাজার ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার পলিসি গ্রহণ করে।
তিনি জানান নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষত সয়াবিন তেল ও চিনির মূল্য (যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করে দেয়) স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অধিদপ্তর কর্তৃক রিফাইনারি থেকে পরিবেশক পর্যায় পর্যন্ত তেল ও চিনির মজুদ পরিস্থিতি জানার লক্ষ্যে একটি অ্যাপস তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মাধ্যমে এসকল পণ্যের অবৈধ মজুদ সনাক্ত করা সহজ হবে এবং এর সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অধিদপ্তর কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়া আমাদের সমাজের দর্পণ এবং মিডিয়ার কল্যাণে আমাদের কার্যক্রম অনেক সহজে এবং দ্রুত সময়ে ভোক্তাদের মাঝে পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য তিনি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান, তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে একটি ভোক্তাবান্ধব ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করার জন্য সকলের সমন্বিত সহযোগিতা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, সিটি কর্পোরেশন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ১২/১৩টি সংস্থা বাজার মনিটরিং করে থাকে। তবে শুধু অভিযান পরিচালনা করে বা জেল জরিমানার মাধ্যমে বাজারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, বৈশ্বিক অর্থনীতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের সংকটে পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ নানা কারণে সব সময় বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয় না। চাহিদা ও যোগানের তারতম্যের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অন্যদিকে অসাধু কারবারী, মজুতদার, কালোবাজারি, সাপ্লাই চেইনের দুর্বলতা, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ভাড়া দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। চিকিৎসাখাতে অবহেলা উত্তরণে একটি কমিশন গঠন অত্যন্ত প্রয়োজন।
দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে গত কয়েক দিনে মোটা চালের দাম কেজিতে ২/৩ টাকা বেড়েছে। পূর্বে মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৫০ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি ভাবে প্যাকেট জাত চিনির দাম ১২৫ টাকা কেজি প্রতি নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে চিনির দাম কেজি প্রতি ৪০-৪২ রুপি। ডিম প্রতি পিস ভারতে ৫/৬ রুপিতে বিক্রি হলেও বাংলাদেশে ১৩/১৪ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
আমরা কোনোভাবে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নয়। তাঁরা বড় বড় পুঁজি নিয়ে বাজারে আসে। লাভ যেমন থাকে ঝুঁকিও তেমনি থাকে। তাই ভ্যাট-ট্যাক্স ব্যবস্থাপণাকে সহনীয় রেখে সরকারকে বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দিতে হবে। একই সাথে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে নতুন বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা প্রদান করে বাজার সিন্ডিকেট বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তবে উৎপাদন বাড়াতে পারলে বাজার সিন্ডিকেট করা সম্ভব হবে না।
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রণে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র পক্ষ থেকে নিম্নের ১০ দফা সুপারিশ করা হয়, ওই ১০ দফা সুপারিশ সমুহ যথাক্রমে, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে পর্যাপ্ত বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ী চক্রকে শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করা, বাজার মনিটরিং বা তদারকিতে শনাক্ত অসাধু ব্যবসায়ীকে তাৎক্ষনিক শাস্তির আওতায় আনার জন্য অধিদপ্তরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা, মজুতদারি, সিন্ডিকেট ও কালোবাজারি চক্রকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে দৃশ্যমান শাস্তি প্রদানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া, বাজারে গ্রাহকের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যের যোগান বা সরবরাহ নিশ্চিত করতে কর্পোরেট মনিটরিং সেল গঠন করা, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আরো বেশি মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে অধিক উৎপাদনশীল ফসল ফলাতে সারাদেশের কৃষকদের সহায়তা করা, কল-কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থা, নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বাধাহীনভাবে আমদানি যেন করা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা, একই সাথে নিত্যপণ্যের আমদানি যাতে নির্বিঘ্নে করা যায় তার জন্য ব্যবসায়ীদের ভ্যাট, ট্যাক্স সুবিধা প্রদান সহ এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংককে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সাপ্লাই চেইনসহ বাজার ব্যবস্থার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসায়ীদের ওপর কড়া নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করা, দেশে সংরক্ষণের অভাবে বছরে ৩০ শতাংশ খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়। তাই পঁচনশীল খাদ্যপণ্য, যেমন আলু, মরিচ, বেগুন, পটলসহ বিভিন্ন সবজি যথাযথ সংরক্ষণের জন্য উপজেলাভিত্তিক হিমাগার স্থাপন করা, এবং সরকারের মজুদ আইন অনুযায়ী চাল, ডাল বা শস্যের ক্ষেত্রে কতদিন এবং কি পরিমাণ মজুদ করতে পারবেন। তা ফলাও করে প্রচার করাসহ আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তাবায়ন করা।
আজ“কেবল বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়” শীর্ষক ছায়া সংসদে সরকারি দল হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বিপক্ষে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে।
“কেবল বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়” শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ সরকারি দল হিসেবে বিষয়ের পক্ষে ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বিরোধী দল হিসেবে বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিতর্ক করেন।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক আবুল কাশেম, সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয় ও সাংবাদিক শাহ আলম খান।
“কেবল বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়” শীর্ষক ছায়া সংসদে সরকারি দল হিসেবে বিষয়ের পক্ষের দল ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বিরোধী দল হিসেবে বিষয়ের বিপক্ষের দল সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে আজকের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়।প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।