শৈত্যপ্রবাহে আক্রান্ত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

এইমাত্র সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের উত্তর-পশ্চিমের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং ময়মনসিংহে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে গেছে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা যে পর্যায়ে নেমেছে, তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন আরো জানান, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ আছে। এ কারণে আকাশ এখন মেঘলা। বৃষ্টি হতে পারে, তবে সেটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। ঢাকার মাদারীপুর, ফরিদপুরসহ আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, এর ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহে যে শৈত্যপ্রবাহ বইছে, সেটি অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা একই রকম থাকলেও কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ার ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসই এ মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। আর ঢাকায় ওই সময় থার্মোমিটারের পারদ ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
মানচিত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার : টানা তিন দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।
বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল।
শীতের মধ্যে ঘন কুয়াশায় ফেরি পারাপারে সমস্যা হয়েছে রাতে ও ভোরে। আর শীতজনিত রোগ নিয়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ চলছে গত এক সপ্তাহ ধরেই।
তীব্র ঠা-ায় দুর্ভোগে পড়েছে নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ঠাকুরগাঁওয়ে বুধবার ঘর গরম করার জন্য খাটের নিচে রাখা আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *