নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ওয়ানএক্সবেট (1xbet)-বেটউইনারের (Bert winner) নামক অনলাইন জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের মূলহোতা মো. মতিউর রহমানকে (২৯) গ্রেফতার করেছে সিআইডি ‘র সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিম। গত ২৮ আগস্ট, নেপালের কাঠমুন্ডতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ২০১৭ সালে পড়াশোনা করার জন্য তিনি রাশিয়ায় যান। সেখানে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন। বর্তমানে সোশ্যাল ওয়ার্কে মাস্টার্স করছেন তিনি। ২০২১ সালে ওয়ানএক্সবেট (1xbet) এবং বেটউইনার (Bert winner) অনলাইন জুয়ার সঙ্গে যুক্ত হন। পাঁচ হাজার (৫০০০) ডলার সিকিউরিটি মানি দিয়ে ওয়ানএক্সবেট এবং তিন হাজার (৩০০০) ডলার সিকিউরিটি মানি দিয়ে বেটউইনারের এজেন্টশিপ গ্রহণ করেন তিনি।
বাংলাদেশে জুয়ার এই দুউটি সাইট পরিচালনার জন্য সিআইডি সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিম কর্তৃক আগে গ্রেফতার ছয়জনের সহায়তায় একটি চক্র গড়ে তোলেন মতিউর। চক্রের সদস্যদের মধ্যে সৈকত রহমান, রেজাউল করিম রানা, সাদিকুলসহ আরও কয়েকজন তাদের মোবাইল লেনদেনের (এমএফএস) এজেন্ট নম্বর ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করতেন।
সৈকত রহমান ও মতিউর রহমান যৌথভাবে সব এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দিতেন বেটিং সাইট কর্তৃপক্ষের কাছে। এভাবে তারা প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ টাকা হুন্ডি করে দেশের বাইরে পাচার করেন।
রাশিয়ায় পড়াশোনারত একজন শিক্ষার্থী হয়েও এই অনলাইন জুয়ার এজেন্টশীপ নিয়ে তিনি গত দুই বছরে বিপুল টাকার মালিক হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তিনি আরো জানান রাশিয়াতে পড়াশোনারত অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীই এই অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত। গ্রেফতার মতিউর এই ঘটানায় বিজ্ঞ আদালতে তার দ্বোষ স্বীকার করে সিআরপিসির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট অনলাইন বেটিং সাইটে জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের সদস্য সন্দেহে ছয়জনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর, বনশ্রী ও আগারগাঁও এবং সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থেকে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে জুয়ায় ব্যবহ্রত বিপুল পরিমাণ ডিজিটাল আলামত জব্দ করে সিআইডি সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিম। তখন এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় যা বর্তমানে সিআইডি, সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্তাধীন আছে।
অনলাইন জুয়া মাদকের মতই ভয়ঙ্কর। আপনার আশেপাশের উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়েরা এই অনলাইন জুয়ার ফাদে পরে যেমন নিশ্ব হচ্ছে তেমনি জুয়ার টাকা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন ক্রাইমে জড়িয়ে পরছে। তাই ছেলে-মেয়েদের মোবাইল/ল্যাপটপ/কম্পিউটার ব্যবহারের প্রতি নজড়দারি করা অভিভাবকের জন্য জরুরী বলে মনে করেন । সিআইডি সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিমের উর্ধতন কর্মকর্তারা।