গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে আমরা যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে আছি। আমাদের সকল অর্জনের সুফল যেন একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ পায়, গ্রামের মানুষ যেন পায়। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি,এবং এ লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাবে। এটাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদর্শ নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব, এটাই আমাদের লক্ষ্য।
বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
এর আগে দুপুর ১টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহীনির একটি দল এসময় গার্ড অব অনার প্রদান করে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু, পরিবারের নিহত সদস্য ও শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসাবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এ সময় নবগঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, সাহারা খাতুনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করে শেখ হাসিনাকে বহনকারী হেলিকপ্টার। হেলিপ্যাডে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান।
পরে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে হেলিপ্যাড থেকে সড়কপথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ভবনে অবস্থান করেন তিনি। তারপরে জুম্মার নামাজের পর বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।