স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটসম্যানদের স্বল্প পুঁজিতেও প্রতিরোধ গড়েছিল টাইগার বোলাররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে থামাতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে বাবর আজমের দল। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ের সেই রান অতিক্রম করে পাকিস্তান।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শুরু থেকেই দেখেশুনে ইনিংসের সূচনা করেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাঈম শেখ। পাওয়ার প্লে’তে দুজন মিলে তুলেছেন ৩৫ রান। নাঈম আগ্রাসী খেললেও তামিম বরাবরের মতো ধীরগতির খেলছেন। ১১ ওভার এর শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরে গেলেন তামিম। তামিমের ফেরার পর উইকেটে আসেন লিটন দাস। লিটনকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন নাইম। কিন্তু দলীয় ৯৮ রানেই রান আউটে ফিরলেন লিটন (১২)। স্কোরকার্ডে আর কোন রান যোগ না হতেই সাজঘরে ফিরলেন নাঈম। ৪১ বলে ৪৩ রান করে ফিরেছেন তিনি।
পরে আফিফ হোসেনকে নিয়ে রান বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালান মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যর্থ হন আফিফ। অভিষিক্ত হারিস রউফের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম উইকেট হয়ে ফেরেন তিনি।
তার পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ঝড় তুলতে পারেননি তিনিও। শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ’র হালকা ঝড়ে মাঝারি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে ওই ওভারে আসে ১৩ রান। ১৪ বলে ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। আর মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
বল হাতে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, হারিস রৌফ ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই পাক ওপেনার বাবরকে ফেরালেন শফিউল ইসলাম। এরপর আহসান আলীর সঙ্গে জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে নেন মোহাম্মদ হাফিজ। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে হাফিজ ফিরলে ভাঙে ৩৫ রানের জুটি।
এরপর শোয়েব মালিক ও আহসান আলীর ৪৬ রানের জুটিতে দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান। ১২তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। লেগ স্পিনারের সোজা বল ক্রস করতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন ৩৬ রান করা আহসান।
আহসান ফিরলে উইকেটে আসেন ইফতেখার আহমেদ। তার সঙ্গে নতুন করে জুটি গড়েন উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখা শোয়েব মালিক। ইফতেখারের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন মালিক। এবার জুটি ভাঙার দায়িত্ব নেন শফিউল। ১৬ রানে ইফতেখারকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন শফিউল। পাকিস্তানের দলীয় ১১৭ রানে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিমের উইকেট তুলে নিলে কেবল হারের ব্যবধানটাই কমাতে পারেন আল-আমিন হোসেন।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দু’টি উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। ৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করেন শফিউল। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে দেন ৪০ রান। আল-আমিন ৪ ওভারে খরচ করেন ১৮ আর বিপ্লব দেন ২৮ রান।
বাংলাদেশ দল:
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, আফিফ হোসেন, লিটন দাস (উইকেটকিপার), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন।
পাকিস্তান দল:
বাবর আজম (অধিনায়ক), আহসান আলী, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), শাদাব খান, হারিস রউফ, শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন।