নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বরাবরের মতোই জমজমাট মানব ব্যবসা। প্রচারণায় চালাতে শুধু রাজধানীর স্বল্প আয়ের মানুষ নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও ভাড়া করে নিয়ে আসা হচ্ছে মানুষ।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে উৎসব চলে এলাকায় এলাকায়। ঢাকার দুই সিটিতে নাগরিক ব্যস্ততার পরেও মিছিলে ঢল নামে মানুষের। শুধু ভোটাররাই নন, যোগ দিচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুরাও।
একজন বলেন, আমাদের জিজ্ঞাসা করা হয় তুই কয়টা পোলাপান নিয়ে আসছিস। এইটা নিয়া খরচাপাতি চালা।
আরেকজন বলেন, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে আসছি, ঢাকা শহর ঘুরে দেখার জন্য, নির্বাচন উপলক্ষে কিছু আনন্দ উৎসব করার জন্য। এই উছিলায় কিছু টাকা পয়সাও পাওয়া হলো।
নিজের পক্ষে মানুষের সমর্থনের জানান দিতেই প্রার্থীরা জড়ো করেন বিশাল বহর। এই বহরের যোগান আসে মানুষ ভাড়া করে। কখনো তা টাকার বিনিময়ে বা কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার কথায়। ভাড়া করা এই স্বল্প আয়ের মানুষেরাও ভোটের মৌসুমকে মনে করেন উপার্জনের সময়।
রাজধানীতে বসবাসরতরাই নন, যোগান আসে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকেও। পটুয়াখালীর বাউফল থেকে যাতায়াত খরচ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে কিশোরদের। থাকা খাওয়ার বিনিময়ে তাদের কাজ প্রচারণায় অংশ নেয়া। ভোটের পর, বাড়ি ফেরত যাওয়ার সময় পাবেন হাতে কিছু টাকাও। এদিকে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ ভাড়া করে প্রচারণা চালানো নির্বাচন আচরণবিধির লঙ্ঘন।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সমর্থক কম বেশিরভাগই ভাড়া করা মানুষ নিয়ে শোডাউন হচ্ছে। এ জাতীয় কার্যক্রমকে যদি নির্বাচন কমিশন বন্ধ না করে তাহলে যে ডিসিপ্লিন থাকার কথা তা থাকবে না।
নির্বাচনী প্রচারণায় স্বল্প আয়ের মানুষদের ব্যবহার নতুন কোনো ঘটনা নয়। রাজনৈতিক দলগুলো এসব প্রচারণায় ব্যবহার করেন এসব মানুষের, আর তারাও আয়ের একটি উৎস খুঁজে পান এ মৌসুমে। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চলুক, এই দাবি সবার।