তাবিথের ইশতেহার ঘোষণা

রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : অত্যাধুনিক বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ১৯ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।


বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে গুলশানে ইমানুয়্যেলস ব্যাংকুয়েট হলে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।

দূষণমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ঢাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ, যানজট ব্যবস্থাপনা, গণপরিবহন, সড়ক নিরাপত্তা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, নারী শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব ঢাকা, নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, নিরাপদ খাদ্য, পাবলিক টয়লেট, ক্ষুদ্র ব্যবসা, ইন্টেলিজেন্ট সিটি অপরাধ দমন ও বিনোদন, আবাসন ও নগর প্রশাসনকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তার ইশতেহারে।

নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা।

আইনের খসড়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের ব্যাপারে বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তিনজন স্বতন্ত্রসহ ১৫ জনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না। পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ন করা যাবে না। এক প্রতিষ্ঠানে একই পরিবারের দুজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না। তার পরও শর্ত থাকে যে তাদের ৫ শতাংশের বেশি শেয়ারের অধিকারী হতে হবে। আর ন্যূনতম দুই কিন্তু অনধিক ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার না থাকলে ওই পরিবারের একজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না।

বিদেশি শেয়ারহোল্ডারের ক্ষেত্রে পরিচালকসংখ্যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দেবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো পরিচালক একই সময়ে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক থাকতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত হতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি ফৌজদারি বিধিতে দণ্ডিত হলে কিংবা জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন- এমন কেউ ফাইন্যান্স কম্পানির প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত হতে পারবেন না। তিনি নিজে বা তার সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে কিংবা আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হলে তিনি প্রধান নির্বাহী হতে পারবেন না।

একজন পরিচালকের মেয়াদ হবে তিন বছর। একাধারে পর পর তিন মেয়াদে অর্থাৎ টানা ৯ বছর পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন। এরপর আরো তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর একই ব্যক্তি পুনরায় পরিচালক পদে মনোনীত হতে পারবেন। এ ছাড়া খসড়া আইনটিতে বিভিন্ন অন্যায়ের ক্ষেত্রে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ বলেন, স্বেচ্ছা ঋণখেলাপি চিহ্নিত করা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সংজ্ঞাটি আরো পরিষ্কার করতে হবে। তবে এ আইন পাস হলে সামগ্রিকভাবে আর্থিক খাত লাভবান হবে। আইনের পাশাপাশি আর্থিক খাতের দৈন্যদশার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *