মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
জেলা পরিষদের সঙ্গে বিরোধে আটকে যাওয়া নড়াইল পৌরসভার কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ,দীর্ঘ আট মাস পর সমাধান দিয়েছেন,জাতীয় সংসদের হুইপ স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ফলে পৌরসভার এসব উন্নয়নকাজে আর কোনো বাধা থাকল না। জটিলতা নিরসনে রবিবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ সময় আলোচনায় আরও অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার,নড়াইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো.হাসানুজ্জমান,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী-লীগ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বোস,নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী-লীগের সহসভাপতি আঞ্জুমান আরা প্রমুখ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,আট মাস আগে নড়াইল পৌরসভা প্রায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নড়াইল শহরের কালিদাস ট্যাংক পুকুর বিউটিফিকেশন,মৌসুমী সুপার মার্কেট পুনর্নির্মাণ,শহর বাজারের চান্দি আধুনিকীকরণ,অত্যাধুনিক কশাইখানা নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের দুটি প্রতিষ্ঠান মুখোমুখি অবস্থান নেয়। নড়াইল শহরের ৭৪ নম্বর মহিষখোলা মৌজার ২ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ৫৩৯ দাগ ও ৫২৮ দাগের চার একর ২১ শতাংশ জায়গা নিজেদের দাবি করে কাজে বাধা দেয় জেলা পরিষদ। গত বছরের ২ নভেম্বর দেওয়ানি আদালতে তফসিলভুক্ত জমিতে স্থিতিবস্থা চেয়ে একটি মামলাও করে জেলা পরিষদ। এর সমাধানে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে মাশরাফি বিন মর্তুজা জানান,স্থানীয় সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরোধ ঘিরে উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ থাকবে না। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবার কাজ শুরু হবে। আদালতে নিষ্পত্তির মাধ্যমে যে প্রতিষ্ঠান জায়গা পাবে,এসব অবকাঠামো তাদের অধীন থাকবে।
নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক বলেন,‘কাজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরে যে আয় হবে তা সমানভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা উন্নয়নমূলক কাজে আর বাধা থাকল না। মামলার রায়ে যা হবে সেটা আমরা মেনে নেব। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র বোস বলেন,উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আয়ের ভাগ দুই পক্ষই পাবে। মামলার রায়ে মালিকানা নির্ধারণ হবে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/03/Screenshot_২০২৪-০৩-১১-০৮-২২-১৭-৪২_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg)