স্বাধীনতা দিবসে কুমিল্লা পিটিআইতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত 

Uncategorized গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

তাপস চন্দ্র সরকার, (কুমিল্লা) :  ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নগর উদ্যানস্থ বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যালে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে কুমিল্লা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন

ওই অনুষ্ঠানে কুমিল্লা পিটিআই’র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অর্চণা কুন্ডু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এর সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্ট রৌশন আরা চৌধুরী, সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্ট দেলোয়ার কুলসুম, ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) মোঃ আব্দুল গফুর, ইন্সট্রাক্টর (বিজ্ঞান) নাছরিন জাহান, ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) গোলাম হাক্কানী ও ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) সাইফুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।

এছাড়াও সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কবিতা সরকার, দিলরুবা আক্তার, সুবর্ণা সাহা, উম্মে খাদিজা ও মাহমুদা আক্তার এবং শিক্ষক মাকসুদুর রহমানসহ কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষণার্থী এবং পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এসময় বক্তারা বলেন- আজ ২৬ মার্চ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

বক্তারা আরও বলেন- ১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু মাতৃভূমিকে মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন।

তিনি শত্রু সেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণায় সেদিনই ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা জাতি। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যা, ধ্বংস ও পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলার আকাশে ওড়ে বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা। মরণপণ লড়াই ও এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই বিজয়। স্বাধীনতা তাই বাংলাদেশিদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। গোটা জাতি আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের। শ্রদ্ধা জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাংলার অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *