ইমপেক্স ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর উৎপাদিত বিতর্কিত ঔষধ আমলাপ্লেক্স (আমলকী রসায়ন) যা ভিটামিন সিরাপ নামক মানব দেহের অভ্যান্তরে বারোটা বাজাতে সক্ষম।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিটফোর্ডের ভেজাল জিনসিন সিরাপ ব্যাবসায়ী এখন ইম্পেক্স আয়ুর্বেদিকের কারখানায় উৎপাদন করছে ভেজাল ও নিম্নমানের আয়ুর্বেদিক ঔষধের সামগ্রী, সম্প্রতি এমনই এক অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর মিটফোর্ডের জিনসিন জামানের বিরুদ্ধে, এ খবর নিশ্চিত করেছেন আয়ুর্বেদিক ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকারী একটি বিশেষ সুত্রের।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
জানা গেছে, জামান দীর্ঘদিন যাবত মিটফোর্ড মাজারের বিপরীতে একটি ঔষধের মার্কেটের নীচতলায় তার মালিকানাধীন ঔষধের দোকানে দেশের বিভিন্ন এলাকার ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রী পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছে। জিনসিন (শরবত জিনসিন) নামক যৌন উত্তেজক ইউনানী সিরাপ এর মিটফোর্ডের হোলসেলার হিসেবে সারা বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানির মালিকের কাছে জিনসিন জামান বিশেষ পরিচিত।
জিনসিন জামান কে বিভিন্ন সময়ে নকল ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধের ব্যাবসা করার জন্য সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বেশ কয়েকবার গ্রেফতার ও করে। পরে জিনসিন জামান জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় একই ব্যাবসা অব্যাহত রাখে।
ইতোমধ্যে জামান জিনসিন সিরাপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে প্রতারণা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান। যার ফলে তোফাজ্জল হোসেনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইম্পেক্স ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) নামক একটি ঔষধ কোম্পানি জামান নাম মাত্র কিনে নিয়ে কোম্পানির মালিকানা ও স্থান পরিবর্তন না করেই শুরু করে ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত।
মিটফোর্ডে জামানের দোকান থাকার সুবাদে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে নাম মাত্র মুল্যে এলোপেথিক ঔষধের মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল কিনে নিয়ে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইম্পেক্স ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) নামক আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির অভ্যান্তরে শুরু করে কালার, ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যাবহার করে তৈরি করে কথিত আয়ুর্বেদিক ঔষধ।
এর পাশাপাশি রাতের আঁধারে শুরু করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ব্রান্ডের ভেজাল ও নিম্নমানের এলোপেথিক ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত। এছাড়াও জামান তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইম্পেক্স ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর কারখানায় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির নামি-দামি ব্রান্ডের বহুল প্রচলিত ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাত। এর মধ্যে ওমিপ্রাজল -২০, ইসসোমিপ্রাজল-২০ ও ৪০, মন্টিলোকাস -১০ প্যান্টাপ্রাজল-২০ অন্যতম।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/InShot_20240527_164643965-300x300.jpg)
এছাড়াও জিনসিন জামান আমলাপ্লেক্স (আমলকী রসায়ন) নামক ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এর মধ্যে গবাদিপশু মোটাতাজাযাতকরন সিপ্রোহেপ্টাডিন ও ডেক্সামিথাসন গ্রুপের কেমিক্যাল ব্যাবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
ইম্পেক্স ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর উৎপাদিত কলসিপ্লেক্স নামে ক্যালসিয়াম ঔষধ তৈরির সময় শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ব্যাবহার করা হয় ফলে উক্ত কলসিপ্লেক্স মিটফোর্ড সহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকার ঔষধের পাইকারী ও খুচরা দোকানে মুড়িমুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে।
আমলাপ্লেক্স (আমলকী রসায়ন) ৪৫০ মিলি সিরাপে গবাদিপশু মোটাতাজা করা কেমিক্যাল ব্যাবহার করার ফলে উক্ত আমলাপ্লেক্স সিরাপ সেবনের ফলে মানব দেহের তাতক্ষনিক পরিবর্তন দেখা দিলেও এর প্রতিক্রিয়া অতিব ভয়াবহ প্রতিনিয়ত এধরণের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মানব দেহের অভ্যান্তরে প্রবেশের ফলে মানব দেহের লিভার, কিডনি ও হার্ট বিকল হওয়ার সম্ভবনা প্রায় শতভাগ।
সচেতন মহলের মতে মেসার্স ইম্পেক্স ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর উৎপাদন লাইসেন্স, কোম্পানির কারখানার পরিবেশ, উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত ঔষধের লেবেল কার্টনের খসড়া ও চুড়ান্ত অনুমোদন, ঔষধের পদ নবায়ন, ঔষধের টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া তদারকি সহ উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত ঔষধের নমুনা পরিক্ষা করা এখন সময়ের দাবী বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সচেতন মহল।