ভারতের পাহাড়ী ঢলে সিলেটে পানিবন্দী সাড়ে ৫ লাখ মানুষ

Uncategorized গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন মানবিক খবর সারাদেশ সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক (সিলেট) : উজান থেকে নেমে আসা ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের ৭ উপজেলা। আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দী সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। ৫ হাজার মানুষ গেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। সুরমার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে সুনামগঞ্জেও।


বিজ্ঞাপন

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার কবলে সিলেটের সীমান্ত এলাকা। ঘরবাড়ি ছেড়ে সহায়-সম্বল নিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে বানভাসি মানুষ। সিলেটের ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৫ হাজার মানুষ। তারা বলছেন, আকস্মিক বন্যার কারণে সবকিছু ফেলে আসতে হয়েছে তাদের।


বিজ্ঞাপন

জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হলেও সেগুলো নিয়ে আসার মতো ব্যবস্থা নেই। গোয়াইনঘাটের নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ শামীম বলেন, ‘প্রায় ৭–৮টি জায়গার মধ্যে এক থেকে দেড় কিলোমিটার জুড়ে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ডুবে আছে। সে হিসেবে আমরা কোনো গাড়িই ব্যবহার করতে পারছি না। ঢলের কারণে নৌকা উজান দিয়ে উপজেলায় যেতে পারছে না। সে কারণে বরাদ্দ খাবার আনতে পারছি না।’

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘এই পরিস্থিতি যদি আরও অবনতি হয় আমরা উদ্ধার কার্যক্রম আরও শক্তভাবে চালাব। প্রয়োজন হলে যাতে সহায়তা করতে পারে সে জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা যে কোনো সময় আসতে পারবে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি না হলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নেই। সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘চেরাপুঞ্জির আবহাওয়াটা যদি ভালো হয়ে যায়, তাহলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পানি অনেক নিচে নেমে নামে এবং আমরা সিলেটবাসী রক্ষা পাব।’

উজানের ঢলে সুনামগঞ্জেও সুরমার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। আর এতে আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *