বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় : স্পিকার

এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে অনন্য উচ্চতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রোববার নিজ কার্যালয়ে ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টারে সঙ্গে আলাপ কালে এ কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন

সাক্ষাৎকালে তারা সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চা, বাংলাদেশের উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।


বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংলাপের মাধ্যমে দু’দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী দেশগুলোর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।

বিশেষ করে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দানসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে ভারত।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি আজও বাংলাদেশে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির মূল কথা হচ্ছে – ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’। বঙ্গবন্ধুর এই নীতি অনুসরণ করেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এবং রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি এসময় উল্লেখ করেন।

কেনেথ জাস্টার বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারস্পারিক শ্রদ্ধা, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কেনেথ জাস্টার জাতীয় সংসদ ভবন ঘুরে দেখেন এবং এর নান্দনিক নকশার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্টের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *