ডিএনসি’র মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান : ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেনসহ বাহামা দ্বীপপুঞ্জ এবং নাইজেরিয়ান নাগরিক গ্রেফতার

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) : মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মেট্রো: (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজিব মিনা, চট্টগ্রাম মেট্রো: (উত্তর) কার্যালয়ের উপপরিচালক  খন্দকার হুমায়ুন কবির, এর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আমত্মর্জাতিক বিমান বন্দরে মাদক বিরোধী বিশেষ একটি অভিযান পরিচালনা করেন। উক্ত মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে  ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেনসহ বাহামা দ্বীপপুঞ্জের একজন বিদেশী নাগরিক গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে এর সংশিস্নষ্টতায় আরও ২ নাইজেরিয়ানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর নিশ্চিত করেছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম দক্ষিণ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গ্রেফতার কৃত মাদক ব্যাবসায়ীর নাম মিসেস স্টাসিয়া শামেত্ম রোলি (Statia Shatae Rolle) নাগরিকতব: বাহামানিয়ান (Bahmian) জন্ম তারিখ: ১২ ডিসেম্বর ১৯৭০, পাসপোর্ট নম্বর-AA163317 পেশা: স্টোরের সেল্স ম্যান বয়স: প্রায় ৫৪ বছর।


বিজ্ঞাপন

 

ফ্লাইট বিবরণ  :  ব্রাজিল থেকে Dubai, আরোহণ তারিখ গত ৮ জুলাই, ফ্লাইট: Emirates নং- EK 262, Landing date and time, গত  ১২ জুলাই  (Dubai) Dubai থেকে Chittagong গত ১২ জুলাই ২০ টা ২৪ মিনিটের সময়  ফ্লাইট: Fly Dubai নং- FZ 0563, Landing date and time: ১৩ জুলাই  সকাল- ৮ টায়।

গোয়েন্দা তথ্য ও অভিযান প্রস্ত্ততি : মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্ম কর্তারা জানান, উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা তথ্যের সূত্র ধরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দক্ষ ও পেশাদার দল ঢাকাস্থ APBN এর একটি চৌকশ টীম যৌথভাবে গত ১২ জুলাই, থেকে  চট্টগ্রামের শাহ আমানত আমত্মর্জাতিক বিমান বন্দরে কোকেন বাহক মিসেস স্টাসিয়া শামেত্ম রোলি এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। গত ১৩ জুলাই,  ৮ টার সময় কোকেন বাহক মিসেস স্টাসিয়া শামেত্ম রোলি Fly Dubai (FZ0563) ফ্লাইটে Dubai থেকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে অবতরণ করেন এবং কোনো ব্যাগেজ ছাড়া তিনি বিমান বন্দর ত্যাগ করে চট্টগ্রামের একটি আবাশিক হোটেলে অবস্থান গ্রহন (check in) করেন। আমরা বিমান বন্দরে অবতরন করা হতে শুরু করে সার্বক্ষণিকভাবে কোকেন বাহককে নীবিড় নজরদারিতে রাখি। গতকাল  ১৫ জুলাই,  মিসেস স্টাসিয়া শামেত্ম রোলি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আমত্মর্জাতিক বিমান বন্দরে তার  ব্যাগেজ ক্লেইম করার পরে রেইডিং টিমের সদস্যগণ কাস্টামস হাউজ, চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় ব্যাগটি প্রথমে স্ক্যান করা হয় ও পরে তার ব্যাগটি তলস্নাশি করে একটি কার্টুনের ভিতর ৭ টি আয়তকার পলি প্যাকেটের মধ্যে সাদা বর্ণের কোকেন সদৃশ পদার্থ আটক করা হয়। প্রতিটি আয়তকার প্যাকেটে প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম করে ৭ টি প্যাকেটে মোট ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেন সন্দেহজনক কারণে আটক করা হয়। জানা যায় যে, আমত্মর্জাতিক কোকেন চোরা চালানকারী বাংলাদেশের আইনশৃঙখলা বহিনীকে এড়ানোর জন্য ঢাকার বিমান বন্দরের পরিবর্তে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর বেছে নিয়েছিল।

কোকেন পরীক্ষা :  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেট্রো: (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব রাজিব মিনার পরামর্শ অনুযায়ী তৎক্ষনাৎ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরাধীন, বিভাগীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগার, চট্টগ্রামের একটি বিশেষ টিম পরীক্ষণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি নিয়ে বিমান বন্দরে উপস্থিত হয়ে সকল এজেন্সীর প্রতিনিধির সামনে কোকেন সন্দিগ্ধ নমুনাসমূহ পরীক্ষা করেন। একাধিক পরীক্ষায় প্রতীয়মান হয় যে, আটককৃত প্যাকেটসমূহের প্রতিটিতেই কোকেন রয়েছে। পরীক্ষণ টিমের পরিচালনায় ছিলেন বিভাগীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারের পরীক্ষক জনাব মো: শফিকুল ইসলাম সরকার (এমএসসি, ফরেনসিক সায়েন্স, যুক্তরাজ্য)।

অভিযান বিবরণ :  গতকাল  ১৫ জুলাই,  সকাল প্রায় ১০ টায়  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি চৌকশ দল ও APBN কর্তৃক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাহামা দ্বীপপুঞ্জের একজন মহিলা নাগরিক মিসেস স্টাসিয়া শামেত্ম রোলিকে ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেনসহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আমত্মর্জাতিক বিমান বন্দরে আটক করা হয়।

প্রাথমিকভাবে কোকেন পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফলের ভিত্তিতে দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটের সময়  আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত কোকেনের ৭ টি প্যাকেট, আসামীর সাথে থাকা লাগেজ ট্যাগ, Boarding card, পাসপোর্ট এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এটি এ পর্যমত্ম চট্টগামে সবচেয়ে বৃহৎ কোকেন মামলা। আসামী রোলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জের ধরে উক্ত কোকেনের বাংলাদেশে অবস্থানকৃত গ্রাহককে/গ্রাহকদেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকার একটি টিম সর্বোচ্চ সতর্কতারসাথে নজরদারীতে রেখে সংশিস্নষ্টতায় আরও ২ নাইজেরিয়ানকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে সংশিস্নষ্টদের এই মামলায় অধীনে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর আইনের আওতায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামালা নং- ১০; তারিখ ১৬-০৭-২০২৪ ইং।

আভিযানিক টিমের সদস্য ছিলেন যে সকল কর্মকর্তা : উক্ত টিমের নেতৃত্ব প্রদান করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেট্রো: (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজিব মিনা, চট্টগ্রাম মেট্রো: (উত্তর) কার্যালয়ের উপপরিচালক  খন্দকার হুমায়ুন কবির, APBN, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  এস এম মিজানুর রহমান, (বিপি ৮৩১২১৪৭৬৩৮) এবং APBN, ঢাকা বিমানবন্দর-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জিয়াউল হক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকার বিমান বন্দর সার্কেলের পরিদর্শক জিলস্নুর রহমান । অভিযানের সার্বিক তত্বাবধান করেন অতিরিক্ত পরিচালক  মো: জাহিদ হোসেন মোলস্না।

পূর্ববর্তী কোকেন মামলার সাফল্য : আন্তর্জাতিক  সংস্থার গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী গত ২৪ জানুয়ারি,  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রো: (উত্তর) কার্যালয়ের একটি টিম বাংলাদেশের মধ্যে বৃহৎ চালান ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেনসহ বিদেশী ৬ জন নাগরিক ও ২ জন দেশী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। উপপরিচালক,চট্টগ্রাম মেট্রো: (দক্ষিণ), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *