নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ দফা দাবি নিয়ে বার কাউন্সিলের পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভিমুখে সমাবেশ করেছে সারা দেশের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষানবিশ আইনজীবী। গতকাল সোমবার ২৫ শে আগষ্ট বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর সামনে প্রত্যেক জেলা থেকে আগত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা জরো হতে থাকে এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে বার কাউন্সিল প্রাংগন।এর তারা সকাল সারে দশ-টায় প্রেসক্লাবের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এক মহাসমাবেশ এরভ দাবি জানানো হয়।এতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন জেলা বারে কর্মরত শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ আইন শিক্ষার্থী। সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবি গুলো যথাক্রমে, বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্ত করার লিখিত পরীক্ষা বাতিল। এমসিকিউ পরীক্ষা ৪০ নম্বরে হতে হবে এবং নেগেটিভ মার্কিং থাকবেনা। প্রতি বছর কমপক্ষে দুটি পরীক্ষা নেওয়া, আইনজীবী তালিকাভুক্ত পরীক্ষা শুধু বার কাউন্সিলের অধীনে নেওয়া এবং জুডিশিয়ারিকে পরীক্ষার সম্পৃক্ততা থেকে অবিলম্বে অব্যবহিত দেয়া। ২০১২ সালের কালো আইন বাতিল। একবার পাস করলে আর পরীক্ষা না দেওয়া। এছাড়া খাতা পুনঃনিরীক্ষার সুযোগ দেওয়া।
উল্লেখ্য গতসপ্তাহে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বরাবর শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবি লিখিতভাবে একটি স্মারকলিপি পেস করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির ৮ সদসের প্রতিনিধি দল, তারা হলেন মো: মাহমুদ, মো: মনির, নাজমা সুলতানা নীলা, জান্নাতুল ফেরদৌস,
দিলরুবা মুন্নি, মিলি, মো:মোস্তাফিজ, ও মো: রিয়াদ। একসপ্তাহ সময় চেয়েছেন সচিব মো: গোলাম সরোয়ার। রবিবার ছিলো শেষ দিন। তাই সারা দেশের শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন ব্রেকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সচিবালয়ের সব গেট বন্ধ করে দেয়া হয় আনসার বাহিনী ও শিক্ষানবিশ জীবীদের অবস্থান দেখে।তারপর ও শিক্ষানবিশ জীবীরা সচিবালয়ে ঢুকার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। অবশেষে ১৪ জনের একটা প্রতিনিধি দল মাহমুদের নেতৃত্বে সচিবালয়ের ভিতরে প্রবেশ করেন।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সবার সাথে বসতে নারাজ যেকোনো ২ জনের সাথে কথা বলবেন বলে জানানো হয়। তার বাকিদের মতামত নিয়ে ৪ জনের সাথে বৈঠকে বসেন আইন উপদেষ্টা।
এ ছাড়া সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বার শিক্ষানবিশ আইনজীবী মাহমুদ, মনির, নীলা, ফেরদৌসি, মুন্নি, মিলি,
বাবুল, কামাল, রাইসুল, মুক্তার হোসেন প্রমুখ সহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষানবিশ জীবীরা।
দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেননি সমন্বয়করা।