‘শিশুশ্রম নিষিদ্ধ’ সাইনবোর্ডের নিচেই শ্রম দিচ্ছে শিশুরা

এইমাত্র জীবন-যাপন

রংপুর প্রতিনিধি : বাইরে বড় করে ‘শিশুশ্রম নিষিদ্ধ’ লেখা সাইনবোর্ড ঝুললেও কারখানার ভেতরে প্রধান শ্রমশক্তি শিশুরাই। জীবন ধারণের জন্য দুটো পয়সার আশায় কাজ করতে আসা শিশুদের এসব কারখানার বিষাক্ত পরিবেশ দ্রুতই ঠেলে দিচ্ছে অকাল মৃত্যুর দিকে।
দুঃখ-দারিদ্র, বেদনা-ক্রন্দনের বৃত্ত ভেঙে বের হতে পারেনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম। বাঁচার চেষ্টা করতে গিয়ে যেন দুর্ভাগ্যের চোরাবালিতেই হারিয়ে যায় এই শহরের মানুষ। লক্ষাধিক জনঅধ্যুষিত এই শহরে প্রায় ৫০টি বিড়ি কারখানায় নারী-পুরুষ-বয়স নির্বিশেষে এদের প্রায় সবাই শ্রমিক। সরকারের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লেখাপড়ার বদলে শিশুরাই এ শিল্পের দক্ষ কারিগর। যদিও কারখানার গেটে রয়েছে ‘শিশুশ্রমমুক্ত’ লেখা সাইনবোর্ড।
অন্য কাজের সুযোগ নেই। ঘুরে ফিরে সেই তামাক ভাঙা-বিড়ি তৈরিই বিকল্প কাজ। এই কাজকে বরাবরই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন ডা. হিরম্বকুমার রায় বলেন, অ্যাজমাজনিত রোগে ভোগে, অ্যাজমারোগীরা আসে, এই ধরনের রোগীরাই বেশি আসলে।
এই অবস্থা থেকে হারাগাছের মানুষকে মুক্ত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
তিনি বলেন, স্যোশালি আমরা চেষ্টা করি তাদেরকে জানানোর। তারা যেন তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠায়। লেখাপড়াটা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মালিক শ্রমিক ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও বলি।
হারাগাছের জন্য বিড়িশিল্প যখন অভিশাপ, তখন তামাকের এই আগ্রাসন বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষেই অভিমত সকলের।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *