বিশেষ প্রতিবেদক : নৌ পরিবহন অধিপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার পদ নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। একের পর এক অভিযোগ, অনুযোগে বিধ্বস্থ নৌ পরিবহন অধিদপ্তর । ৫ বছরের বেশী সময় ধরে প্রেষনে কাজ করে যাওয়া বর্তমান চীফ ইঞ্জিনিয়ার মন্জুরুল কবীরকে নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে ডিজি শিপিং এ ।
অধিদপ্তরে যোগ্য কর্মকর্তা থাকার পরও ৫ বছরের বেশী সময় ধরে প্রেষনে কাজ করে যাচ্ছেন মঞ্জুরুল কবীর। সরকারী কর্মচারী প্রেষন বিধিমালা ২০২০ এর অনুসারে একজন কর্মকর্তা ০৫ বছরের বেশী প্রেষনে কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু মঞ্জুরুল কবীর ২০১৮ সাল থেকে অদ্যাবধি চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে । কেন, কিভাবে তিনি এখনো এই পদে রয়েছেন, তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আমলাতান্ত্রিক সুবিধা নিয়ে মূলত মঞ্জুরুল কবীর তার পদ ঠিক রেখেছেন। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের একাধিক সচিবদের সুবিধা দিয়েছেন এই মঞ্জুরুল কবীর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম সবচেয়ে বেশী অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন মঞ্জুরুল কবীরকে। বিনিময়ে তিনি প্রতি মাসে আর্থিক সুবিধা পেতেন মঞ্জুরুল কবীরের কাছ থেকে। বিগত সরকারের আমলে একাধিকবার চীফ ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তনের ফাইল উত্থাপিত হলেও দেলোয়ারা বেগম প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে চীফ ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তনের ফাইল আটকে রাখতেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী একাধিকবার চীফ ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তনের চেষ্টা করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা ভেস্তে যায়। চীফ ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তনের জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় প্রতিবেদনও সংগ্রহ করা হয়। সর্বশেষ ফাইল আটকে থাকার জট খোলে কিছুদিন আগে।
মন্ত্রনালয়ের একাধিক সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম এর সাথে সখ্যতা রয়েছে চীফ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল কবীরের সাথে। এই সখ্যতার খাতিরে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে দেলোয়ারা বেগম অবৈধভাবে মঞ্জুরুল কবীরকে চীফ ইঞ্জিনিয়ার পদে বহাল রেখেছেন।
নিয়ম মাফিক ৫ বছরের মধ্যেই একজন যোগ্য, অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে চীফ ইঞ্জিনিয়ার পদে পদায়ন করার কথা। কিন্তু অদ্যাবধি এর কোন সুরাহা করতে পারেনি নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়। ০৫ বছরের বেশী সময় হয়ে গেলেও একজন ভারপ্রাপ্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে চলছে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য যোগ্য। কিন্তু মন্ত্রনালয় এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা আশংকা করছেন, চীফ ইঞ্জিনিয়ার পদায়ন নিয়ে হয়তো বড় কোন দুর্নীতি রয়েছে। নাহলে কেনো এখনো যোগ্য স্থায়ী চীফ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ হচ্ছে না ?