নিজস্ব প্রতিবেদক (কুমিল্লা) : গতকালম সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোসতাক আহমেদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচনা করেন কুমিল্লা বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ও নজরুল গবেষক অধ্যাপক শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আব্দুল্লাহ পিন্টু ও সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল, জেলা জিপি এডভোকেট তপন বিহারী নাগ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ আ.হ.ম তাইফুর আলম, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) কুমিল্লা’র প্রধান উপদেষ্টা সদাশিব সিংহ দাস ব্রহ্মচারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ ইউসুফ আলী, বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা ইউনিট এর সভাপতি এডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত ও এডভোকেট দীলিপ কুমার চন্দ প্রমুখ।
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ইমাম হাসান, সিনিয়র সহকারী জজ মুক্তা নাগ, সিনিয়র সহকারী জজ রাজীব কুমার দেব, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন, সহকারী জজ মোঃ বাপ্পী মিয়া, সহকারী জজ মোঃ শাহ জালাল ও সহকারী জজ মোঃ আনিসুল হক সহ জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবীগণ। আলোচনাসভার শুরুতেই পবিত্র গীতা পাঠ করেন ত্রিশূল গীতা শিক্ষালয় এর শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ওই অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- জেলা আইনজীবী সমিতির রিক্রিয়েশন সেক্রেটারি এডভোকেট আছিয়া মাহজাবিন খান নিশু।
সভায় বক্তারা বলেন- আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছিলেন। পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই তাদের মহাবতার এই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন।
পাশবিক শক্তি যখন সত্য, সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই অসুন্দরকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন বলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করি।