শেরপুরের ঝিনাইগাতী-নালিতাবাড়ীর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত : চরম দুর্ভোগে মানুষ: নিহত-৩

Uncategorized গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন মানবিক খবর সারাদেশ

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, (শেরপুর) :  টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট শেরপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ওজানে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও ভাটি এলাকায় আরো অন্তত ৫০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এপর্যন্ত ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছে লোকজন।


বিজ্ঞাপন

নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়া বৃদ্ধ ইদ্রিস আলী (৬৫) ও ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ তিনজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পাড়ে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এদিকে রাতভর বন্যা দুর্গত এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা। বন্যার্ত এলাকায় খাবার সঙ্কট চরমভাবে দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৭শ হেক্টর জমির আমন ধান সম্পূর্ণ পানির নীচে এবং ৯ হাজার ৭শ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ আংশিক পানির নীচে তলিয়ে গেছে। ৬শ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *