নিয়মবর্হিভূতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন  : দুর্নীতির আখড়া তুষারধারা আবাসিক এলাকা

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  : রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৫নং ওয়ার্ডস্থ তুষারধারা আবাসিক এলাকায় একের পর এক অনুমোদন লাভ করছে  ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তুষারধারা আবাসিক এলাকার ১,২,৩,৪,৫,৯,১০ নং সেক্টর ঢাকা মহানগরীর ৬৫নং ওয়ার্ডের কদমতলী থানাধীন এবং ৬,৭,৮,১১ নং সেক্টর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লাথানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত।


বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত “ইম্পেরিয়াল আইডিয়াল স্কুল”। যা তুষারধারা আবাসিক এলাকার ৬নং সেক্টরের অর্ন্তগত। ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্যে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ জমির বিধান থাকলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের পরপরই জামাতের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজন তুষারধারা আবাসিক এলাকায় (৬নং সেক্টরের কুতুবপুর, ফতুল্লায়) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লবিংয়ের মাধ্যমে ইম্পেরিয়াল  আইডিয়াল স্কুলের অনুমোদন  করায়।


বিজ্ঞাপন

বিদ্যালয়টি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকার ভাড়া বাড়িতে  কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালেয়ের নামে ৫০ শতাংশ জমিও নেই। বাস্তবে এ বিদ্যালয়টি তুষারধারা আবাসিক এলাকার কদমতলী থানা অংশের একটি ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। যা মূলত একটি কিন্ডার গার্ডেন , এর ৫০ মিটার পশ্চিমেই এলাকার একমাত্র এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “মহিউদ্দিন বাদল কলেজিয়েট স্কুল” অবস্থিত।


বিজ্ঞাপন

এ বিদ্যালয়ের অনুমোদনের সাথে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্ট রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সেজে সুবিধা নিয়েছে এবং ফ্যাসিস্টের বিদায়ে লেবাস পাল্টে দুর্নীতির পসড়া সাজিয়ে বসেছে। উন্নয়ন প্রকল্পের ৪র্থ  শ্রেণির কর্মচারী কবির আহমেদ এর ভগ্নিপতি ইকবাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গ্রন্থাগারিক হিসেবে থাকার সুবাধে নিয়মবর্হিভূতভাবে সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে রাজস্ব খাতে স্থায়ী হন। তুষারধারা আবাসিক এলাকার ১০নং সেক্টরে রোজ গার্ডেন নামে নির্মাণাধীন ভবনসহ হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক এ কবির আহমেদ।


বিজ্ঞাপন

বিএনপি জোট সরকারের আমলে জামাতের প্রেসক্রিপশনে মাউশিতে করনিক পদে যোগদানকারী বিগত সরকারের আমলেও ঢাকার  নামকরা কলেজে পোস্টিং নিয়ে থাকা মুকবুলের চাকুরীর পাশাপাশি রয়েছে কয়েকটি ডেভেলপার কোম্পানি। সেও হাজার কোটি টাকার মালিক এবং বিশাল ক্ষমতার অধিকারী। তাদের ইশারায় তুষারধারা আবাসিক এলাকাসহ তথা সারা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক অনুমোদন গ্রহণ/ বাতিল হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *