সুমন হোসেন, (যশোর) : দুষ্টের দমন আর শীষ্টের পালন এবং শুভ শক্তির আগমনে ও অশুভের বিনাশের লক্ষে শুরু হয় শারদীয় মহৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে বুধবার থেকে শুরু হয়ে শনিবার বিজয়ী দশমীর মধ্যে দিয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গােৎসব এর সমাপ্তি হয়েছে।
গত বছর যশোরের ৭৩৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর জলাবদ্ধতার জন্য ৮১টি মন্দির কমে দূর্গাপূজা হয়েছে ৬শ’ ৫২টি মন্দিরে। এসব মন্ডপ গুলোতে সকাল থেকেই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গভীর রাতে শেষ হয়। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রথম দিন শুরু হয়েছে।
ষষ্ঠী পূজায় এদিন সকাল থেকে চন্ডিপাঠে মুখরিত সকল মন্ডপ এলাকা। সপ্ত কল্পারাম্ভ এর মধ্যে দিয়ে সপ্তমী, অসুরবধ করনের মাধ্যমে অষ্টমী পূজা, মহানবমীতে অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির আগমনের মধ্যে দিয়ে এবং শুভ বিজয়ী দশমীর মাধ্যমে দূর্গা এই ধরাধাম ত্যাগ করে চলে যান। এরপর রবিবার বির্সজন দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় শারদীয় দূর্গোৎসব।
শনিবার নওয়াপাড়া কালীবাড়ি মন্দিরে পরিদর্শন করেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি নিজামুল হক মোল্ল্যা ও তার সহধর্মিনী রুনা আকন্দ। এ সময় মন্দির কতৃপক্ষ তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। এরপর তিনি পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন। যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদায় নেন।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের সভাপতি শেখর কুমার শাহা বলেন, সম্পুর্ন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দূর্গাপুজা পালন করতে পেরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের কে কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কোনো প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দূর্গাপুজা করতে পেরেছি।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, আমরা উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দিন রাত ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছি।