তাপস চন্দ্র সরকার, (কুমিল্লা) : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজোর পর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের শেষে পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিন ব্যাপী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় কুমিল্লা জেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপ ও বাসাবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীশ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা।
তদুপলক্ষে ধন-সম্পদের আশায় সনাতন ধর্মানুসারীরা উপবাস থেকে চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, নাড়ু, ফুল, ফল, মিষ্টি নৈবেদ্য দিয়ে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে শিশু-কিশোররা।
এদিকে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার বলেন- কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী মর্ত্যে আসেন তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ করতে। দশভূজা মা চিন্ময়ীর বিদায়ের ব্যথা ভুলে আবার আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এ বছর তিথি অনুসারে প্রতি ঘরে ঘরে সৌভাগ্য ও ধন সম্পদের দেবী শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ধন সম্পদের আশায় ঘরে ঘরে আশ্বিন মাসের কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী আরাধনার পাশাপাশি প্রতি বৃহস্পতিবার সধবা স্ত্রীগণ তাদের ঘরে লক্ষ্মীর পূজা করে থাকে। নারী পুরুষ উভয়েই এই পূজায় অংশ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পূজা হয়।