নিজস্ব প্রতিবেদক : পেট্রোবাংলা পরিচালনা বোর্ড, জ্বালানী বিভাগ সবাই কয়লা লোপাটের সাথে জড়িত উল্লেখ করে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যাব। এছাড়া, কয়লার কোনো ধরণের মজুদ, সরবরাহ ও বিক্রির সঠিক হিসাব না রাখা বড়পুকুরিয়া কয়লা দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। এছাড়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য অযৌক্তিক ব্যয় সরবরাহ করার প্রমাণও পেয়েছে ক্যাবের তদন্ত দল।
মঙ্গলবার ডিআরইউতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ক্যাব। পরে ৭৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইটে দেয়া হবে বলে জানান তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা চুরির অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদনে বড়পুকুরিয়া কয়লা দুর্নীতিতে ১.৪৪ লক্ষ মেট্রিকটন দেখানো হলেও বিশেষজ্ঞদের তদন্তে এ পরিমাণ ৫.৪৮ লক্ষ টন। এছাড়া অগ্রহণযোগ্য ময়েশ্চার সম্পৃক্ততায় বিসিএমসিএল কন্সোর্ট্রিয়ামকে ২.৮৫ লক্ষ মেট্রিকটন কয়লার বিল বেশি পরিশোধ করা হয়।
এছাড়া বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদক ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও চার্জশিট দেয়ার পরও বিসিএমসিএল এর প্রতিবেদনে কয়লা চুরিকে সিস্টেম লস হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
কয়লার সঠিক হিসাব ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো গেলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ-এর ব্যয় আরো কমে আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।