সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২০-২০২১ সেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন সরকার সমর্থক সাদা প্যানেলের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। এছাড়া, সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে এ ফল ঘোষণা করা হয়। বারের সুপারিনটেনডেন্ট নিমেশ চন্দ্র দাশ জানান, ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ছয়টি পদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ (সাদা প্যানেল) মনোনীত প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদকসহ আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থীরা।
সাদা প্যানেলের প্রার্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন এবারের নির্বাচনে ৩ হাজার ৩৭০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীল প্যানেলের জয়নুল আবেদীন পেয়েছেন ২ হাজার ৪৫৭ ভোট। ৯১৩ ভোট বেশি পেয়ে আমিন পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সহ-সভাপতির দুটি পদের একটিতে জয় পেয়েছেন সাদা প্যানেলের মো. মনিরুজ্জামান এবং অন্যটিতে নীল প্যানেলের মো. আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া।
সম্পাদক পদে নীল প্যানেল থেকে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ৩ হাজার ৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের শাহ মঞ্জুরুল হক পেয়েছেন ২ হাজার ৮১১ ভোট। সহ-সম্পাদকের দুটি পদেই জয় পেয়েছেন সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা হলেন ইমতিয়াজ ফারুক ও বাকির উদ্দিন ভুঁইয়া। কোষাধ্যক্ষ পদে নীল প্যানেলের রাগীব রউফ চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন পাঁচ হাজার ৯৪০ জন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্য ছিলো সাত হাজার ৭৮১ জন। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ। ১৪টি পদের বিপরীতে এই নির্বাচনে মোট প্রার্থী হয়েছিলেন ৩১ জন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০ সেশনের নির্বাচনেও সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি টানা দুবার সভাপতি নির্বাচিত হলেন। অপরদিকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবার প্রথমবারের মতো সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। গত নির্বাচনে বিএনপি সমর্থক নীল প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। গত বছরের ১৩ মার্চ ও ১৪ মার্চ ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।