সাবেক ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর অতিরিক্ত সচিব  আইসিটি বিভাগের এনআইডি’র তথ্য পাচার মামলার আসামীর অবিশ্বাস্য দাপট!

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক :  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মাহবুবুর রহমান সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর হয়েও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

সজিব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহম্মেদ পলকের সাথে এনআইডির তথ্য পাচারের মামলার তিনি ৬নং আসামি। কিন্তু তিনি এখন নিজেকে সেইভ করার জন্য বৈষম্য বিরোধী সরকারেরসমর্থক সেজে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন।


বিজ্ঞাপন

তাকে চাকুরী থেকে বাধ্যতামুলক অবসরে না পাঠিয়ে কেন এখনো চাকুরীতে বহাল রাখা হয়েছে সেটাই এখন বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশনের প্রশ্ন। সম্পতি এনআইডির তথ্য পাচারের অভিযোগে জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

জানাগেছে, ডাটা সেন্টার থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও অন্তত: ২০ জনকে।

গত বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর কাফরুল থানায় এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন।
সকালে ডিএমপির কাফরুল থানার অফিসার্স ইনচার্জ কাজী গোলাম মোস্তফা মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেছেন।

জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা।

যে তথ্য দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রির প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় এ মামলায়।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেনঃ ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম,বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশন) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সাবেক সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মু.আশরাফ হোসেন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) রেজিস্টার জেনারেলের কার্যালয়ের সাবেক সিস্টেম অ্যানালিস্ট অলিউল হাসান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. তবিবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক (বৈধ ও সঠিকতা যাচাইকরণ) মুহা. সরওয়ার হোসেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মো. আব্দুল মমিন সরকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (চলতি দায়িত্বে), (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ সেবা) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান এব বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার মো. সিদ্দীকুর রহমান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *