মৃত্যু পরোয়ানা শুনলেন আজহার

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে তার মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এ টি এম আজহারুল ইসলামকে এ পরোয়ানা পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীররাতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদ-ের আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছায়। পরে মঙ্গলবার সকালে কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত্যুদ-ের রায় পড়ে শোনান। এ সময় দ-প্রাপ্ত আজহারুল ইসলাম এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন করবেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানান।
কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানান, দ-প্রাপ্ত এটিএম আজহারুল ইসলাম মধ্যে রিভিউ পিটিশন জমা দিতে পারবেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদ- দেন। জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে একই সঙ্গে ৩০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর তার সেই সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
রোববার আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছানোর পর তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপরই মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয়।
এ টি এম আজহারুল ইসলাম একাত্তরে ইসলামী ছাত্রসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সে সময় তার নেতৃত্বেই বৃহত্তর রংপুর এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে লুটপাট-অগ্নিসংযোগসহ বর্বরতা চালানো হয়। রায়ে তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত এক হাজার ৪০০ জনকে হত্যা ও নিজেই ১৪ জনকে খুনের অপরাধে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *