গ্রেপ্তার আতঙ্কে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেতাত্মা চিহ্নিত গণপূর্তের ১৬ প্রকৌশলী : জিকে শামীম ও হাসান মোল্লা কোথায়? 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক  : জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৬ প্রকৌশলীকে। পাশাপাশি একই অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খা কে ও মামলায় আসামি করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি করে টাকা কামিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যয় করার অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর অথরাইজড অফিসার জোন দেবনাথ কেও মামলার আসামি করা হয়েছে।মামলার পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এসব প্রকৌশলী রয়েছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম জড়িত থাকার গুঞ্জন শোনা গেলেও অদৃশ্য কারণে মামলায় বাদ পরে যায়।


বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে দুর্নীতির দায়েও কাউকে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রকৌশলী কাজে নিয়মিত হতে পারছেন না। তবে অধিদপ্তর জুড়ে রয়েছে চরম স্থবিরতা । এরই মধ্যে কয়েক জনকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর পুনরায় ঢাকায় অবস্থান করছেন। আতঙ্কের কারণে কাজে গতি ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়া এসব প্রকৌশলী জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে কোটি কোটি টাকা জোগান দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা আছে এবং তদন্ত চলছে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতিতে সামনের সারিতে থাকা এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তখন ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, অনেককেই বারবার পুরস্কৃত করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার পর আন্দোলন ভণ্ডুল করার চেষ্টাকারীদের দোসর হিসেবে পরিচিত এসব প্রকৌশলীকে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসব প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন, রামপুরা ও সাভার থানায় পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। মামলা হয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও। এদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সক্রিয় সদস্য।

মামলার কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা জোন) শামছুদ্দোহা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন) শহিদুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ই/এম) আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহাম্মাদ; তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইলিয়াস আহম্মেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাকির হোসেন; নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুব রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী প্রকৌশলী সমিরন মিস্ত্রি, নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু, নির্বাহী প্রকৌশলী আমানউল্লাহ আমান এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ইএম ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মিরাজ আসামির তালিকায় রয়েছেন।

জানা গেছে , এদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন, রামপুরা ও সাভার থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। রাজধানীর ঝিগাতলার বাসিন্দা কে এম শাহরিয়ার শুভ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আসামির তালিকায় থাকা কয়েকজন প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এসব মামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। তাদের মূল উদ্দেশ্য মামলার আসামিদের বিভিন্ন চাপে রেখে ঠিকাদারি কাজ ও অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। টাকা দিলেই মামলা থেকে রেহাই পাব বলা হচ্ছে।

তারা আরো জানান, এটা সত্য যে, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডসহ দলীয়করণ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যারা বিগত সরকারের সময় সুযোগ-সুবিধা ভোগ ও দুর্নীতি-অনিয়ম করেছেন, তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত। তা না করে ঢালাওভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে। চাকরি হারানো এবং মামলায় গ্রেপ্তারের ভয় তো থাকবেই।

প্রকৌশলীদের অভিযোগ, মামলা নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সুরাহা করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। গণপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ-ই এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রকৌশলী নবজাগরণ ডটকমকে জানান, এখানে যাদের হাতে ক্ষমতা থাকে তাদের ইচ্ছায় সব হয়। ছাত্র-জনতা হত্যার পাশাপাশি অনেকে দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত। তারা এখন প্রকৌশলী হওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। এর আগে গণপূর্তের এসব প্রকৌশলী জি-কে শামীমের সঙ্গে সখ্য গড়ে ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

তারা আরো বলেন, কয়েক দিন আগে আশরাফুল আলম গণপূর্ত অধিদপ্তরে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রিজার্ভ) হয়ে এসেছেন। এর আগেও তিনি গণপূর্তে ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে বিপুল অনিয়মের অভিযোগ ছিল। দুর্নীতির দায়ে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়।

কিছুদিনের মধ্যে তিনি প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব নেবেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে; কিন্তু রহস্যজনক কারণে কোনো মামলা হয়নি। গণপূর্তের সবাই তাকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে চেনেন। অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে আশরাফুল আলমের মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি, যে কারণে তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের সঙ্গে মামলার বিষয়ে  কথা বলতে গেলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদুর রহমান আজকের দেশ ডটকম কে বলেন, যারা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা তাদের তালিকা হচ্ছে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আদালত থেকে কোনো চিঠি আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেব।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাড় দেওয়া যাবে না। যারা দুর্নীতি করেছেন এবং জড়িত আছেন, দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

আলোচিত ও সমালোচিত গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রভাবশালী ঠিকাদার জিকে শামীম।

 

কে এই জিকে শামীম :  কে এই আলোচিত ও সমালোচিত গণপূর্ত অধিদপ্তরের সেই প্রভাবশালী ঠিকাদার ও যুবলীগের সমবায় সম্পাদক : যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হিসেবে পরিচয়দানকারী জি কে শামীমের পূর্ণ নাম এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম। নারায়ণগঞ্জ শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও তিনি। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর যুবদলের সহ-সম্পাদক ছিলেন। জি কে শামীম বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মির্জা আব্বাসের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেও জানা গেছে।

প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার সরকারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজ তার নিয়ন্ত্রণে। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পর্যন্ত শামীমের ঠিকাদারির হাত বিস্তৃত। যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে জি কে শামীম পরিচয় দিলেও উভয় সংগঠন অবশ্য তা অস্বীকার করেছে।

অপর একটি সুত্রের দাবি,  ১৬ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হেলমেট পরা পিস্তল হাতে থাকা যুবকের পরিচয় মিলিছে, তিনি আর কেউ নন, তিনি গণপূর্তের ঠিকাদার হাসান মোল্লা। ঢাকা কলেজের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছারের ভাগনে। এছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় ও মিলেছে তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার ও নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফজ্জামান চুন্নুর নিজস্ব কমিশন এজেন্ট। এবিষয় টা এখন গণপূর্ত অধিদপ্তর সহ টক অফ দ্যা সিটিতে পরিনত হয়েছে।

ঢাকা কলেজের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছারের ভাগনেকে দিয়ে গণপূর্তের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের হুমকি ধমকি দিয়ে থাকেন প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার ও নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু।

জানা গেছে, মামা আবু কাউছারের বদান্যতা আর অর্থ পাচার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ছত্রছায়ায় ঠিকাদারি শুরু করেন হাসান। এক পর্যায়ে তিনিই হয়ে ওঠেন গণপূর্তের কর্তাবক্তি কারবারে তাঁকে সহযোগিতা করেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু। সাবেক গণপূর্ত ও গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধান প্রকৌশলী শামীম আকতারের ঘনিষ্ঠ চুন্নু ছাত্রলীগের হাসানের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে নিয়ন্ত্রণ করতেন টেন্ডার ও ঠিকাদারি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন তুঙ্গে ছিল গত ১৬ জুলাই। চারদিকে শুধু গুলি-গ্রেনেডের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। সেই বর্বরতা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হেলমেট পরা অবস্থায় পিস্তল হাতে গুলি চালাতে দেখা যায় এক যুবককে। এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অবশেষে পরিচয় মিলেছে তাঁর। তিনি গণপূর্তের ঠিকাদার হাসান মোল্লা। ঢাকা কলেজের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছারের ভাগনে।

গণপূর্তের ঠিকাদার হাসান মোল্লা। ঢাকা কলেজের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছারের ভাগনে। (হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এবং হেলমেট ছাড়া)

 

সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মোল্লা আবু কাউসারের ভাগ্নে হাসান মোল্লা :  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হেলমেট পরে পিতল উঁচিয়ে গুলি করা গণপূর্তের ঠিকাদার এবং সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মোল্লা আবু কাউসারের ভাগ্নে হাসান মোল্লা :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিকে অস্ত্র উচিয়ে গুলি করা যুবকের পরিচয় মিলেছে। পিস্তল নিয়ে হামলায় অংশ নেয়া যুবকের নাম হাসান মোল্লা। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোল্লা আবু কাওসারের ভাগ্নে বলে জানা গেছে। ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী হাসান ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারি করেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে বিয়ে করেছেন এমন তথ্যও জানিয়েছেন ওই নেত্রীর সহপাঠীরা।

উল্লেখ্য, আন্দোলনরত কোটা বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পিস্তল উঁচিয়ে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এক যুবককে গুলি চালাতে দেখা গেছে। হামলার ছবি গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার থেমে থেমে চলা এই হামলায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু কাউছার একসময় জি কে শামীমের মাধ্যমে গণপূর্তের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন। বড় অঙ্কের কাজ করত জি কে বিল্ডার্স লিমিটেড ও দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স। আর ১০ কোটি টাকার নিচের কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করত হাসানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মা-বাবার দোয়া কনস্ট্রাকশন। মামা ও বড় ভাইদের সহায়তায় গণপূর্ত ঢাকা বিভাগ-৪-এর ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদও বাগিয়েছেন হাসান। আর এসব কাজে সহায়তা করেছেন গণপূর্তের সাবেক ও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার ও নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *