বিন্দু পরিমাণ অনিয়ম নয়

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজনীতি সারাদেশ স্বাস্থ্য

মশা সঙ্গীত চর্চা করছে
ছুটি সীমিত আকারে বাড়বে
নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ
দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা

 

বিশেষ প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ বিন্দু পরিমাণ অনিয়ম করলেও সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার গণভবন থেকে ৬৪ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের সহযোগিতায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিত্তবানদের সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তা হবে দুঃখজনক। এটা আমরা সহ্য করব না।
তিনি বলেন, ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কৃষক, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না। তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেখানে ১০ টাকা কেজি চালসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী তালিকা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সবাই যেন সাহায্য পায়। কেউ যেন বাদ না পড়ে।
তিনি বলেন, সাহায্য পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কোনো রকম দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে, কোনো অভিযোগ পেলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়ব না। বিন্দু পরিমাণ অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
করোনা মোকাবেলায় দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশটা ছোট কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল। এরপরও আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। সেজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রয়েছে। সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। কারণ নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা রয়ে গেছে। আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই। আমাদের আরও সচেতন থাকা দরকার। আমরা আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করেছি। ভবিষ্যতে যেন করোনা না ছড়ায় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। লুকোচুরি করার অর্থ নিজের জীবনকেই ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া। জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। জনকল্যাণে যেসব কাজ তা করতে হবে যথাযথভাবে নিয়ম মেনে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার মেয়রদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মশার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
মেয়র আতিককে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিন্তু আরও সতর্ক থাকবে হবে, যেহেতু মেয়র সাহেব আছেন আমি সেখানে বলছি, সেটা হলো- কালকে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন মাঝে মধ্যেই মশা সঙ্গীত চর্চা করছিল। মশার গান শুনলাম। গুণগুণ করে কানের কাছে বেশ গান গাচ্ছিল। অর্থাৎ মশার প্রার্দুভাব কিন্তু আস্তে আস্তে শুরু হবে। আসবে ডেঙ্গু। আমাদের এখন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলবো এ মশার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য এখন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলার সিভিল সার্জন, স্বশস্ত্র বিভাগের প্রতিনিধি, পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতারা, সংসদ সদস্য, পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিত রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সরকারের ঘোষণা করা ছুটির মেয়াদ সীমিত আকারে বাড়বে। দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছরের নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সরকারর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত দেশে ৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচজন। মোট ১ হাজার ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিসে টানা ১০ দিনের ছুটি চলছে। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নববর্ষের অনুষ্ঠান আমরাই শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও আমাদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণেই এ অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ আপনাদের। ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকেরা তাঁদের নিজ নিজ জেলার প্রস্তুতির অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তাঁদের কথার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পরামর্শ দেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারে যেন পর্যটক না যেতে পারে, সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। আর রোহিঙ্গা শিবির নিয়ে আমাদের বড় চিন্তা। সেখানে যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পারে, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে পারে।
অপরদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে জেলার প্রশাসকরা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মকা- অব্যাহত থাকবে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তারা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কী প্রয়োজন এবং করণীয় থাকলে সেটি কী-এসব বিষয় নিয়ে দেশের সব জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডি কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কনফারেন্সে প্রথমে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওহিদুজ্জামান যুক্ত হন। তার জেলার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, জেলায় দশ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন মৃত্যু হয়েছে, বাকি সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জনসচেতনতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মকা- এগিয়ে নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য মানুষকে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা করছে। জেলায় পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুপমেন্ট) কোনো সংকট নেই। ডাক্তার-নার্সরা সার্বিক প্রস্তুত রয়েছেন।
এরপর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জামাল হোসেন ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা প্রতিরোধে যে চার দফা নির্দেশ দিয়েছেন সেটি জেলায় পালন করতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং, রোগীর জন্য ১শ শয্যার আসসোলেশন সেন্টার, যারা বিদেশ থেকে এসেছে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যধ্যতামূলক করছি। চিকিৎসা সামগ্রী নিশ্চিত করছি। সংকটকালীন মানুষ যাতে কষ্ট না পায় এজন্য ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতারাও জনগণের পাশে রয়েছেন। কক্সবাজারে একটি করোনা টেস্ট্রিং ল্যাব করার কাজ চলেছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, কক্সবাজারে একজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আর কেউ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে কি না?। প্রধানমন্ত্রীকে জেলা প্রশাসক জানান, ওই ব্যক্তির যেখানে যেখানে গিয়েছেন এবং যারা তার সংস্পর্শে এসেছে তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে আমরা চিন্তিত। এদিকে নজর দিতে হবে, যাতে সংক্রমণ না হয়। আমরা আমাদের নিজেদের লোক দিয়েই করাবো সবকিছু। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন তাকে আশ্বস্ত করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, সম্মিলিত টিম ওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। আইইডিসিআর থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেভাবে সমাজের আনাচে কানাচে প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে সতর্ক করেছি। জেলার সিভিল সার্জন বলেন, তারা সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান কোনো কিছুর প্রয়োজন রয়েছি কি না? এসময় সিভিল সার্জন বলেন, না সবকিছু আছে।
সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্য সায়মন সারোয়ার কমল বলেন, নিজেরা মাঠে নেমে মানুষকে সচেতন করছি। এখন খাদ্য সরবরাহ করে যাচ্ছি। তবে তিনি বলেন, জেলা মাত্র ১৫ হাজার পরিবার সরকারের খাদ্য সামগ্রী পেয়েছে। ১০টাকার যে চাল দেওয়া হয় সেটি এরই মধ্যে বিতরণ হয়ে গেছে। পরবর্তী ট্রিপের চাল যদি অগ্রিম দেওয়া হয় মানুষের অনেক উপকার হবে।
এরপর গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তার জেলার পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান। গাইবান্ধায় এখন পর্যন্ত চারজন আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে দু’জন আমেরিকা ফেরত ছিলেন। তারা এসে একটা বিয়েতে যোগ দেন। পরে ওই দু’জনের সঙ্গে যারা সংস্পর্শে ছিলেন তাদের সবাইকে আমরা হোম কোয়ারেন্টাইন করে রেখেছি। উনার বাড়িতে যে আত্মীয় ছিল তাদেরও আমরা আবদ্ধ করে রেখেছি। উনারা যেখানে যেখানে গিয়েছেন সবাইকে খোঁজ দিয়ে নজরদারি হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। সরকারি যে সহায়তা আসছে তা নি¤œ আয়ের মানুষের মধ্যে তালিকা করে পৌঁছে দিচ্ছি।
জেলার এসপি বলেন, ১ মার্চ থেকে গাইবান্ধায় ৪২৬ জন বিদেশ থেকে এসেছেন। তাদের সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এর মধ্যে ২৪৬ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। ১৯০জন এখনো আছে হোম কোয়ারেন্টাইনে।
তিনি বলেন, আমেরিকা ফেরত যে দুজনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছিল তাদের সংস্পর্শে আসায় ৮৬ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি। তারা যেখানে যেখানে গিয়েছেন সব জায়গায় করে কোয়ারেন্টাইন করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। বার বার মনিটরিং করছি বিভিন্ন এলাকায় যাতে গণজমায়েত না করতে পারে।
ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা থেকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, করোনা সংক্রমণের ৪৯টি কেস হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। যে ৫ জন মারা গেছেন তাদের দীর্ঘমেয়াদী রোগ ছিল। শেষ মুহূর্তে তারা হাসপাতালে এসেছিলেন।
তিনি জানান, বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জনই মাদারীপুরের। করোনা ভাইরাসের বিষয়ে তথ্য এলে প্রক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, রোগী শনাক্ত হলে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে কন্টাক্ট মরিটরিং করা হচ্ছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবার পারসোনাল প্রটেকশন ইকুপমেন্ট-পিপিই পরার দরকার নাই। শুধু তাদেরই দরকার যারা রোগীর সেবা করবে। সবাই পরলে অনেক সময় প্রয়োজনীয় লোক পাবেন না। বিষয়টি প্রচারণা বাড়াতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর।
এ সময় করোনা রোগীদের দাফন নিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত না হওার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলে, দাফনের ব্যাপারে মানুষ একটু আতঙ্কিত হচ্ছে। এটাতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলার সিভিল সার্জন, স্বশস্ত্র বিভাগের প্রতিনিধি, পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতারা, সংসদ সদস্য, পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিত রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *