নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস নিয়ে সারাদেশে আতঙ্ক বিরাজমান। এরই মধ্যে আনন্দের খবর নিয়ে এলো পদ্মাসেতু। মঙ্গলবার রাত ১০টায় জাজিরা প্রান্তের পদ্মাসেতুর ২৬ নম্বর পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। এর ফলে প্রমত্তা পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হলো।
সংশোধিত সিডিউলের আগেই সম্পন্ন হলো সর্বশেষ পিলারের কাজ। তাই দেশি বিদেশি প্রকৌশলীদের মধ্যে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ। পদ্মা সেতুর একাধিক প্রকৌশলী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন বলেন, সর্বশেষ পিলারের কাজ শেষ হতে যাচ্ছে দেখে অসম্ভব ভালো লাগছে। কারণ সাব-স্ট্রাকচার অংশের এই কাজটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। একসময় পদ্মা সেতুর পিলার তৈরিতে নদীর মাটির জটিলতার কারণে কিছু সমস্যা হয়েছিল। পরে নকশায় কিছু পরিবর্তন এনে সেই সমস্যা দূর করা হয়। তবে, আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি সমস্যার কোনও না কোনও সমাধান পাওয়া যাবেই।
তিনি আরও বলেন, পিলারে বেইজড গ্রাউটিং, স্কিন গ্রাউটিং ও ফুললেন্থ স্টিল পাইলিং করা হয়েছে। আমাদের দেশে সাধারণত যেমন ব্যবহৃত হয় তার থেকে পদ্মা সেতুর বিয়ারিং প্যাডে ভিন্নতা আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের অন্য সব চলমান প্রকল্পের মতো পদ্মা সেতুতেও করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে সেতুতে কাজ করছেন দেশি-বিদেশি প্রায় ১৫০০ কর্মী। যদিও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে সেতুতে কর্মরত ছিলেন প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মী।