!! ৩৬টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নিবন্ধন বাতিল হওয়ার চিঠিতে বলা হয়েছে, রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৪ উপধারা (২)(ঘ) ও রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১১-এর বিধি ৫ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ৫ (পাঁচ) বছর অতিক্রান্ত হওয়া এবং শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায়/সন্তোষজনক লিখিত জবাব প্রদান না করায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৪২তম বোর্ড সভার ২১ নম্বর সিদ্ধান্তের আলোকে ২৬৬তম বোর্ড সভার ২৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বর্ণিত ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ বাতিল করা হলো। রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় অনিবন্ধিত ডেভেলপার এবং অননুমোদিত প্রকল্প থেকে প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয় কার্যক্রম গ্রহণ থেকে জনসাধারণকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হলো, ভিশন ২১ ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, প্রিমিয়াম হাউজিং এস্টেট, এনা প্রপার্টিজ, গ্রেট ওয়ালস ল্যান্ড প্রপার্টি, গ্লোরিয়াস প্রপার্টিজ, ম্যাক্সিম হোল্ডিংস (প্রা.), তুরিন হাউজিং, বিওসিএল ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট, বেস্টওয়ে ল্যান্ড প্রপার্টিজ, বেস্টওয়ে ফাউন্ডেশন, সাফিজ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট, আরডিপি প্রপার্টিজ, গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট, ভেনাস হাউজিং অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট, এফআইসিএল রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার, পারিজাত ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন, দিশারী রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভেনিস অব বেঙ্গল প্রপার্টিজ, বসুধা বিল্ডার্স, রূপান্তর ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, প্রান্তিক প্রপার্টিজ, নেটওয়ার্ক ২০০৮ বিডি, বসুতি বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস, এসএফএল চন্দ্রিমা সিটি, হীরাঝিল প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট, হার্ব হোল্ডিংস, নবোদয় হাউজিং, আমাদের বাড়ী, নবধারা হাউজিং, রিচমন্ড ডেভেলপারস, পূবালী ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ড্রিম প্যারাডাইজ প্রপার্টিজ, সবুজ ছায়া আবাসন, ইউরো বাংলা হাউজিং, সৃজন হাউজিং এবং ম্যাগপাই হাউজিং লিমিটেড !!

নিজস্ব প্রতিবেদক : এনা প্রপার্টিজ, সবুজ ছায়া আবাসন, ইউরো বাংলা হাউজিং, দিশারী রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, প্যারাডাইজ প্রপার্টিজ, বসুধা বিল্ডার্সসহ ৩৬টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নিবন্ধন সনদ বাতিল করেছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। সরকারের অনুমোদন ছাড়া প্রকল্প নেওয়া ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব অনিবন্ধিত ডেভেলপার এবং অননুমোদিত এসব প্রকল্প থেকে প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয় কার্যক্রম গ্রহণ থেকে জনসাধারণকে বিরত থাকতে বলেছে সরকারের এই প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, প্রতিটি কোম্পানির লে-আউট করে বা প্লট তৈরি করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প নিতে হয়। কিন্তু অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এমন বিধানের তোয়াক্কা করছে না। নিজেদের ইচ্ছামতো বেশিরভাগ প্লট তৈরি না করেই জমি বিক্রি ও প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়া রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোতে যে সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকার নিয়ম আছে, সেটাও তাদের নেই। নিয়ম অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ২ মাসের মধ্যে নিবন্ধন সনদ নবায়ন করতে হয়; কিন্তু সনদ বাতিল হওয়া ৩৬টি কোম্পানির বেশিরভাগেরই সনদ ৭ থেকে ৯ বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ। সনদ নবায়ন না করায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এসব কোম্পানিকে একাধিকবার চিঠি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। কারণ দর্শানোর শুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য ডাকা হলেও তারা শুনানিতে অংশ নেননি।

এমনকি লিখিত জবাব চাওয়ার পর সন্তোষজনক জবাব দেননি। এসব কোম্পানির অফিসের যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সেসব জায়গায় তাদের অফিস খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান জাতীয় গৃহায়নের কর্মকর্তারা। পরে তাদের নিবন্ধন সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের লোকজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
৩৬টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নিবন্ধন বাতিল হওয়ার চিঠিতে বলা হয়েছে, রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৪ উপধারা (২)(ঘ) ও রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১১-এর বিধি ৫ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ৫ (পাঁচ) বছর অতিক্রান্ত হওয়া এবং শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায়/সন্তোষজনক লিখিত জবাব প্রদান না করায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৪২তম বোর্ড সভার ২১ নম্বর সিদ্ধান্তের আলোকে ২৬৬তম বোর্ড সভার ২৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বর্ণিত ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ বাতিল করা হলো। রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় অনিবন্ধিত ডেভেলপার এবং অননুমোদিত প্রকল্প থেকে প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয় কার্যক্রম গ্রহণ থেকে জনসাধারণকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, নিবন্ধন বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হলো, ভিশন ২১ ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, প্রিমিয়াম হাউজিং এস্টেট, এনা প্রপার্টিজ, গ্রেট ওয়ালস ল্যান্ড প্রপার্টি, গ্লোরিয়াস প্রপার্টিজ, ম্যাক্সিম হোল্ডিংস (প্রা.), তুরিন হাউজিং, বিওসিএল ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট, বেস্টওয়ে ল্যান্ড প্রপার্টিজ, বেস্টওয়ে ফাউন্ডেশন, সাফিজ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট, আরডিপি প্রপার্টিজ, গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট, ভেনাস হাউজিং অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট, এফআইসিএল রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপার, পারিজাত ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন, দিশারী রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভেনিস অব বেঙ্গল প্রপার্টিজ, বসুধা বিল্ডার্স, রূপান্তর ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, প্রান্তিক প্রপার্টিজ, নেটওয়ার্ক ২০০৮ বিডি, বসুতি বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস, এসএফএল চন্দ্রিমা সিটি, হীরাঝিল প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট, হার্ব হোল্ডিংস, নবোদয় হাউজিং, আমাদের বাড়ী, নবধারা হাউজিং, রিচমন্ড ডেভেলপারস, পূবালী ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ড্রিম প্যারাডাইজ প্রপার্টিজ, সবুজ ছায়া আবাসন, ইউরো বাংলা হাউজিং, সৃজন হাউজিং এবং ম্যাগপাই হাউজিং লিমিটেড।
জাতীয় গৃহায়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির গণমাধ্যম কে বলেন, যেসব কোম্পানি সরকারের শর্ত লঙ্ঘন করেছে, তাদের নিবন্ধন সনদ বাতিল করেছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি কোম্পানির লে-আউট করে বা প্লট তৈরি করে জাতীয় গৃহায়নের পরামর্শ নিয়ে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়ায় শর্ত ছিল; কিন্তু তা না করায় কোম্পানিগুলো নিবন্ধন সনদ বাতিল করা হয়েছে। এখন যাদের নিবন্ধন নেই, সেসব কোম্পানি যদি প্লট ও ফ্ল্যাট বিত্রিু কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো যদি শর্ত মেনে চলে, তাদের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।