নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছরেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কোন বাস্তব কল্যাণ হয়নি। অথচ তাদের কল্যাণের জন্য অজস্র রাষ্ট্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত করা হয়েছিল। দেশে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় আছে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আছে, জামুকা আছে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আছে কিন্তু দুর্ভাগ্য, সেগুলোর কোন সঠিক হিসাবও রাখা হয়নি। কোন নজরদারীও করা হয়নি।

এখানে যারাই গেছেন তারাই দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে অনেক সম্পদ বেহাত হয়ে গেছে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সমস্ত সম্পদের অডিট করা করা হচ্ছে। আশা করি, অচিরেই সম্পদগুলোর একটা পরিচ্ছন্ন চিত্র পাওয়া যাবে। এরপর আমরা দেখবো, এগুলো কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়।

নিউ ইস্কাটনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল সদর দপ্তরে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নবনিযুক্ত আহবায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সভাপতিত্ব ও কমিটির সকল সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান সদ্যগঠিত কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নইম জাহাঙ্গীর।

গত ২৪ জুন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল- জামুকার নির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ১১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছিল। কমিটিতে নইম জাহাঙ্গীর আহবায়ক এবং সাদেক আহমেদ খান সদস্য সচিব মনোনীত হন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মেজর (অব.) সৈয়দ মুনিবুর রহমান, সৈয়দ আবুল বাশার, সিরাজুল হক, অনিল বরণ রায়, জাহাঙ্গীর কবির, প্রকৌশলী জাকারিয়া আহমেদ, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহিল সাফি ও আলহাজ্জ মনসুর আলী।