নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদ্য অনুমোদন হওয়া সাত ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে পদ পেয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা।

শনিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির নবঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি থেকে দুই সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাদল মিয়া ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে কমিটিগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ দেখা দেয়।

এর আগে আহ্বায়ক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ওই ইউনিয়নের সাদের খলা গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ও একই গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে বিগত সংসদ নির্বাচনে সক্রিয় ভুমিকায় থাকা হান্নান মুন্সী।

জানতে চাইলে জিল্লুর বলেন, কিভাবে আমার নাম বিএনপির কমিটিতে দেওয়া হলো তা আমি জানিনা। আমি বিএনপি-আওয়ামী লীগ কোনো দল করিনা।
উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করে জানান, সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয় প্রত্যাশী এক সময়ের ইউনিয়ন যুবল নেতা আনিসুল হক জিল্লুরকে কমিটিতে রাখার জন্য উপজেলা বিএনপিকে প্রভাবিত করেছেন।
এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, জিল্লুরকে বিএনপির কমিটিতে রাখার জন্য আমি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে কোনো ধরণের চাপ বা প্রভাবিত করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এটা প্রচার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাদল মিয়া বলেন, জিল্লুরের নাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে রাখায় দলের ভেতর ক্ষোভ দেখা দেয় এবং হান্নান মুন্সী আওয়ামী ঘরানার রাজনীতি করায় দুজনকেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।