রোজার বাজারে বেগুনে সেঞ্চুরী

অর্থনীতি এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও রোজার শুরুতে রাজধানীর কাঁচাবাজারের চরিত্র বদলায়নি। অন্যান্য বছরের মতোই এবারও রোজার শুরুতেই অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে বেগুন ও শসার। ৪০ টাকার বেগুন এক লাফে ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। ২০ টাকার শসার দামও তিনগুণ বেড়ে ৬০ টাকা স্পর্শ করেছে।
শনিবার রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, বাসাবো, মানিকনগর, মুগদা অঞ্চলের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
খিলগাঁও, রামপুরা ও মালিবাগ অঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভালো মানের লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। একটু নি¤œমানের বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বেশিরভাগ বাজারে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। তবে ভ্যানে কোনো কোনো ব্যবসায়ী শসা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
এদিকে মুগদা ও বাসাবো অঞ্চলে ভালো মানের বেগুন ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একটু নি¤œমানের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এই অঞ্চলে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।
বেলা ১১টায় রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের পেছনের বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করা কায়েস বলেন, আড়তে বেগুনের অনেক দাম বেড়ে গেছে। তারপরও ১০ কেজি বেগুন এনেছিলাম। প্রথম থেকেই ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। সব বিক্রি হয়ে গেছে। আর মাত্র কেজিখানেক আছে।
পাশের এক ব্যবসায়ীকে একই মানের বেগুন ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। পাশাপাশি ব্যবসা করার পরও একই মানের বেগুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে কায়েস বলেন, ও হয়তো কম দামে কিনে এনেছে, তাই কম দামে বিক্রি করছে। আমার কেনা পড়েছে বেশি দামে। তাই ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আপনার যেটা ভালো লাগে আপনি সেটাই নেন। খুঁজলে ৬০ টাকা কেজিতেও বেগুন পাবেন।
রামপুরা বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করা আলম বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, এবার রোজায় বেগুন, শসার দাম বাড়বে না। কিন্তু এবারও দাম বেড়েছে। গতকালও এই বেগুন ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজ ৮০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। গতকাল শসার কেজি ৩০ টাকা বিক্রি করেছি, আজ ৬০ টাকা হয়েছে। আড়তে দাম বাড়ার কারণে এ অবস্থা।’
খিলগাঁও তালতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভালোমানের বেগুন ৮০-১০০ টাকা এবং শসার কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ী রহিম বলেন, ‘৪০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা হয়েছে তারপরও চাহিদা কমেনি। ১৫ কেজি বেগুন ১১টার মধ্যেই বিক্রি করেছি। রোজার কারণেই বেগুনের এতো চাহিদা। ইফতারিতে সবাই বেগুনি পছন্দ করে। এ কারণে দাম বাড়লেও যারা কেনার তারা বেগুন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’
তালতলা থেকে বাজার করা আলেয়া বলেন, ‘করোনা আতঙ্কের কারণে বাইরে খুব একটা বের হই না। শুক্রবার দাম বেশি থাকে, তাই গতকাল বাজার করিনি। আজ বাজারে এসে দেখি বেগুন, শসার দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, শসার কেজি ৫০ টাকা। এতো দাম বাড়বে ভাবতেও পারিনি। আসলে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও আমাদের চরিত্র বদলায়নি। ব্যবসায়ীরা আগের মতোই শুধু মুনাফার পিছনে ছুটছেন।’


বিজ্ঞাপন