নিজস্ব প্রতিবেদক : উপমহাদেশে এসে সংক্রমণের ক্ষমতা অনেকটাই কমেছে করোনাভাইরাসের। এমন আশার কথা শোনালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিরিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের একদল গবেষক। তারা বলছেন, রোগসৃষ্টির ক্ষমতা কমলেও আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ভয়াবহতার মাত্রা থাকছে একই রকম।
এই বৈশিষ্ট্যের সামান্য পরিবর্তনেই কোনো অঞ্চলে সংক্রমণ বেশি আবার কোথাও কম। এমনই আরো কয়েকটি পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করেই সার্স কভ-২ এর রোগসৃষ্টির ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এই পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিরিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব বলেন, এই অঞ্চলে এসে কোভিড নাইনটিনের পরিবর্তন স্পষ্ট। যার প্রভাবে কমেছে এর সংক্রমণের সক্ষমতা।
ভাইরাসের ভেতরে যে পরিবর্তন আছে, তার সাথে এর আক্রান্ত করার যে ক্ষমতা সেখানে একটা কোরিলেশন করা যায়। ভাইরাসের ভেতরে পরিবর্তনের কারণে হয়তো তার সংক্রমণেও পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, ছড়ানোর মাত্রা কমলে, আক্রান্তের ক্ষেত্রে ভয়াবহতায় তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি।
ভাইরাসটির সংক্রমণ ক্ষমতা কমলেও যাকে সংক্রমণ করছে তার জন্য হয়তো ভয়াবহতা অনেক বেশি।
এমন গবেষণায় সরকার পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার পরিচালক অধ্যাপক সামছুজ্জামান তুষার বলেন, অবশ্যই আমরা এসব কাজের সাথে সরকারি বিধি মেনে জড়িত হতে ইচ্ছুক আছি। প্রথম শনাক্তের ৫২ দিনে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৭,১০৩ আর মৃতের সংখ্যা দেড়শ’ ছাড়িয়েছে।