মার্কেট খুলছে, বেচাকেনা নিয়ে শঙ্কা

অর্থনীতি জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় দেড় পর আগামী ১০ মে থেকে সারাদেশের শর্তসাপেক্ষে ও সীমিত পরিসরে খুলছে দোকান ও শপিংমল। ইতোমধ্যে দোকান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। সারাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে দোকানপাট ও শপিংমলের জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও গাইডলাইনও চূড়ান্ত করেছে দোকান মালিক সমিতি।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সারাদেশের দোকান ও শপিংমলের এক কোটির বেশি মালিক-কর্মচারীর কথা বিবেচনা করে আমরা দোকান খোলার অনুমতি চেয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন করেছে, এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। তবে আমরা মনে করি, যাদের প্রয়োজন আছে তারাই দোকান খুলবে। আমরা চাইও না যে সবাই দোকান খুলুক। এ কারণেই দেশের বৃহত্তম শপিংমল বসুন্ধরা ও যমুনাসহ অনেকেই দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অবস্থায় দোকানপাট খুললেও বিক্রি তেমন হবে না বলেই মনে করেন দোকান মালিক সমিতির নেতারা।
রোজার অর্ধেক চলে যাওয়ার পর দোকানপাট ও শপিংমল খোলায় কতটা বিক্রি হবে এ নিয়ে শঙ্কা অনেকেরে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে তাই অনলাইনে কেনাকাটাও পরামর্শ দিয়েছে ফ্যাশন হাউজের উদ্যোক্তারা।
দোকান মালিক সমিতির নেতারা জানান, ক্রেতা-বিক্রেতা ও মার্কেটে আসা গাড়ির জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের কৌশল ঠিক করতে কাজ করছেন তারা। বলেন, যে চেকিংগুলো প্রয়োজন এবং যারা শপিংয়ে আসবে তাদের তাপমাত্রা দেখবো আমরা। হ্যান্ডগ্ল্যাভস এবং মাস্ক ব্যবহার করছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা হবে। তাদের বডিওয়াশ এবং জুতা পরিস্কার করে মার্কেটে প্রবেশ করা এবং একসাথে যাতে অনেক ক্রেতা জড়ো না হতে পারে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করা হবে।
কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স, মুদিসহ সারাদেশে দোকান আছে প্রায় ২৫ লাখ। এসব দোকানের কিছু শপিংমলে, কিছু সাধারণ মার্কেটে, আবার কিছু বাড়ির নিচে। নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে মালিকেরা।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, ক্রয়-বিক্রয় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অন্যানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বড় বড় শপিংমলে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা এবং শপিংমলে আগত যানবাহন গুলো জীবাণুমুক্তের ব্যবস্থা করতে হবে।
রমজানে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় পোশাক কেনাকাটায়। ব্যবসায়ীদের হিসাবে, গত বছর ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে পোশাক কেনাকাটায় লেনদেন হয় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে এবার সেই আশা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে কেনাকাটার ব্যবস্থা করছেন অনেকেই।
ফ্যাশন উদ্যোক্তা সমিতির সাবেক সভাপতি আজহারুল হক আজাদ, এই অবস্থায় খুব বেশি বেচাকেনা হবে না। পোশাক মানুষের গূরত্বপূর্ণ জায়গায় থেকে পিছিয়ে আছে। পরিবহন খোলার আগে পোশাক কেনাকাটা স্বাভাবিক হবে না।


বিজ্ঞাপন