করোনা সংকটে বন্ধ রাজনৈতিক কর্মকান্ড

রাজধানী রাজনীতি

বিশেষ প্রতিবেদক : নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংকটে বন্ধ রাজনৈতিক কর্মকা-। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আবার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকা- শুরুর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। করোনাকালে দরিদ্র মানুষকে সাধ্য অনুযায়ী ত্রাণ সহায়তা ও সচেতনতা তৈরির কাজের বাইরে দলীয় অন্য কোনো কর্মসূচি থাকছে না বলেও জানিয়েছে দলগুলো।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের পর প্রভাব পড়ে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাভাবিক কর্মকান্ডে। প্রথম দিকে দলগুলোর কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল কার্যালয়ে।
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় নড়েচড়ে বসতে থাকেন রাজনীতিবিদরাও। একপর্যায়ে কোনো ধরনের সমাবেশ না করার নির্দেশ দেয়া হয় কর্মীদের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির ঘোষণা থাকলেও সব স্থগিত করে আওয়ামী লীগ।
বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয় যেকোনো ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলার। ফাঁকা হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয়গুলো। তবে করোনা পরিস্থিতি, দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে এবং কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিতে নেতারা ভিডিওবার্তা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নেন।
এপ্রিলের শেষ দিকে শর্ত সাপেক্ষে খোলার অনুমতি দেয়া হয় পোশাক কারখানা। ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে খুলবে শপিংমল-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতে বাড়ছে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল। এসব নিয়ে কী ভাবছে প্রধান দলগুলো?
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এক-দেড় মাস যখন আমরা ঘরের মধ্যে বন্দী আছি, কোনো ফল হয় নাই, পিকে চলে গেছে (বেড়েছে)। এখন আবার সব খুলে দেয়া হচ্ছে, তার একমাত্র কারণ হলো সরকার জনগণকে সুরক্ষা দিতে পারবে না, তার মানে খাবার দিতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আবার অর্থনীতিকে একটু ধীরে ধীরে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাও সময়ের দাবি। সুতরাং সবকিছু মিলিয়েই সরকারকে এবং বিশেষ করে সরকার প্রধানকে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেই এই জিনিসগুলোকে সামাল দিতে হচ্ছে।
এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান বিপরীত হলেও এখনই রাজনৈতিক কর্মকা- শুরু না করার ব্যাপারে একমত এই দুই নেতা।
আবদুর রহমান আরো বলেন, এগুলো (করোনা পরিস্থিতি) পুরোপরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সভা সমাবেশের প্রশ্নই ওঠে না।
আর ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিধি-বিধান মেনেই চলতে হবে। মহামারি কতদিন থাকে সেটি দেখতে হবে, হঠাৎ করে তো বলা যাবে না কোনদিন থেকে শুরু করতে পারবো। তারা মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে অপেক্ষার কোনো বিকল্প নেই।


বিজ্ঞাপন