১২টি অগ্নিনির্বাপকের ৮টিরই মেয়াদ নেই

জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী স্বাস্থ্য

ইউনাইটেডে নিয়ম না মেনেই আইসোলেশন ওয়ার্ড

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকান্ডের পাঁচজন রোগী নিহতের ঘটনায় গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের রক্ষা করতেই বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
সরকারের নির্দেশনা পালনের নামে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের ফায়ার এক্সটিংগুইশারগুলো ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ পায়নি হাসপাতালের লোকজন। আর এজন্যই এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় অনেকটা দায়সারাভাবেই আলাদা আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করেছিল ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। অন্যদিকে মেয়র আতিকুলের উপস্থিতিতে বেরিয়ে আসে করোনা রোগীদের জন্য তৈরি করা ইউনাইটেড হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে আইসোলেশন ইউনিটের জন্য ব্যবহৃত ১২টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের আটটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত টিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আলামত হিসেবে তা জব্দ করে সিআইডির ফরেনসিক দল। বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য তৈরিকৃত আলাদা তাঁবুতে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন পুরো তাঁবুতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন পাঁচজন রোগী মারা যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অগ্নিকা-ের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন দায়সারা আইসোলেশন ইউনিট তৈরির বিষয়টি তুলে ধরেন।
অগ্নিকা-ের কারণ সম্পর্কে দেবাশীষ বর্ধন বলেন, হয়তো ইলেকট্রিক কোনো কারণে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউনাইটেড হাসপাতালের সম্প্রসারিত অংশে ফায়ার ফাইটার, ফায়ার ড্রিল এবং ফায়ার-টিম ছিল না। ১২টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের মধ্যে মাত্র তিনটির মেয়াদ ছিল। অন্য আটটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। হাইড্রেন্ট (যা থেকে জরুরি পানি সরবরাহ করা যায়) কে চালাবে, কে কাজ করবে, কার দায়িত্ব-এগুলো সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।’
অগ্নিকান্ডে নিহতদের মধ্যে ৪জনের দাফন গতকালই সম্পন্ন করা হয়েছে। আর নিহত ভারনন অ্যান্থনী পলের লাশ চট্টগ্রামে দাফন করা হয়েছে। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
গতকাল সকালে সিআইডির ক্রাইম সিন বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিকান্ডের আলামত সংগ্রহ করে। সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকে বলেন, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে- সেটি তদন্ত করতে আলামত সংগ্রহকরা হয়েছে।
জানা গেছে, গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বুধবার রাতে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়েএই অপমৃত্যুর মামলা করে। বুধবার দিবাগত রাত নয়টার পর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। গুলশান থানার উপপরিদর্শক সিনথিয়া আক্তার বলেন, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলাটি করেছেন।
অপরদিকে ইউনাইটেডে হাসপাতালে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ছে। বুধবার দিবাগত রাতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন জানান, আগামি সাত কার্যদিবস শেষে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালের মূল ভবনের পাশে টেম্পোরারি মেটেরিয়াল দিয়ে করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তেরি করা হয়েছিল। কিন্ত সেখানে কোনো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিল না। তবে মূল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিল। সেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ পাইনি হাসপাতালের লোকজন।
হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চারটি রুম রয়েছে। চারটি রুমের একটি রুমে এসি দুমড়ে-মুচড়ে অবস্থায় দেখা গেছে। আর চারটি রুম অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে সেটি বিস্ফোরণ হয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আইসোলেশনে থাকা করোনা সাসপেক্ট ৫ জন রোগী মারা যায়। তবে নিহত পাঁচজন যে করোনা সাসপেক্ট রোগী ছিল সেটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডাক্তার নার্সও ছিল। তারা দ্রুত অগ্নিকান্ডের সময় বের হয় গেলও রোগীরা বের হতে পারেনি। অগ্নিকান্ডের কারণে রোগীদের মৃত্যু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইউনাইটেড হাসপাতালের লোকজন মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানো যায় না। এগুলো কাজ করে না। এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। দেড় মাস আগেই ফায়ার এক্সটিংগুইশারগুলো রিফিল করা উচিত ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাগন জানিয়েছে।
অগ্নিকান্ডের তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ঢাকা বিভাগ) দেবাশীষ বর্ধন জানিয়েছেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকলেও তা ফায়ার সার্ভিস আসার আগে ব্যবহার করা হয়নি। গতকাল হাসপাতালেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, অগ্নিকান্ডে আরও আগে লাগলেও আমরা কন্ট্রোল রুমে তথ্য পেয়েছি ৯টা ৫৫ মিনিটে। আমাদেও লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। এদিকে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার তো কাজ করবে না। আর তা কোন কাজ করেও নাই। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো আসার পর দেখেছে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। অগ্নিনির্বাপণ করার পর আমরা পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান দেবাশীষ বর্ধন বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা। আমরা তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবো। মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখার দায় হাসপাতালের। দেড়মাস আগেই রিফিল করা উচিত ছিল। হাসপাতালে ফায়ার হাইড্রেন্ট ছিল। কিন্তু আমরা আসার আগে কেউ কাজ করেনি। আমরা আসার পর একটা লাইন খোলা হয়।’
আগুন লাগার কারণ তদন্ত করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তার, বিভিন্ন ডিভাইস, এসির ভেতরে থাকা দাহ্য পদার্থ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। রুমের ভেতরে এসি ছিল, অনেক ইলেকট্র্রিকাল ডিভাইস ছিল, এসিগুলো নেগেটিভ প্রেসারে ছিল। এ সবগুলো খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।
সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নামে মাত্র গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ইউনিট খুলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছি। আর ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের এই উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্মন এ বিষয়ে বলেছেন, হাসপাতালের আইসোলেশন এর ‘অবকাঠামো দেখে তাই মনে হচ্ছে। তবে এ ধরনের রোগীর ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল। হাসপাতালগুলো আইসোলেশন সেন্টার করলেই হবে না, ফায়ার প্রাটকটিভ মেজারটাও রাখতে হবে। সার্বক্ষণিক একটি টিম অবশ্যই রাখা উচিত ছিল।’ অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় আইসোলেশন সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন কোনোভাবেই ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসা পাঁচ রোগীর এমন মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। এমন মর্মান্তিক মৃতুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মেয়র এসব কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খোঁজখবর নিয়েছি। রোগীর স্বজন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিজে কথা বলেছি। পরিদর্শন করলাম। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। তাছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার ডিসটিংগুইশার ও সিলিন্ডার যেগুলো পাওয়া গেছে তার অধিকাংশগুলোই ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।’ ‘ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। তদন্তে কাজ করছে গুলশান থানা পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস থেকে আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ হাসপাতালে আসে অসুস্থতা নিয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য কিন্ত এখানে যেভাবে আগুন লেগে পাঁচজন রোগীর মৃত্যু হলো, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর দায় কোনোভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগুনের খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সার্বিক খোঁজখবর নেয়ার পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, অগ্নিকান্ডের সময় এক রোগীর স্বজন গেটে দাঁড়ানো ছিলেন। তিনি ৯টা ৪৮ মিনিটে আগুন দেখে ৯৯৯-এ ফোন করেন। আমরা তার ফোন চেক করেছি। এর ফলে ধরে নিতে পারি অগ্নিকান্ডের সূচনা ৯টা ৪৮ মিনিটে। পরে ভাটারা থানার মাধ্যমে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত মেসেজ পাঠানো হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস আসা পর্যন্ত সময়ে হঠাৎ করেই আগুন বড় পর্যায়ে চলে যায়। এর ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বলেন, রোগীর স্বজনরা এসির স্পার্কিং থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখেন। আর ওই তাঁবুর প্রায় সকল দ্রব্যাদি অনেক বেশি দাহ্য। সেখানে অনেক ধরনের স্যানিটাইজেশন উপাদান ছিল, যা খুবই দাহ্য পদার্থ। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প সময়ে আগুন এখানে খুব বড় রূপ নেয় এবং পাঁচজন নিরীহ রোগী মৃত্যুবরণ করেন। নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন করোনা পজিটিভ ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন করোনা পজেটিভ এবং দুইজন নেগেটিভ বলে চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। তাদের তিনজনের বয়স ৭০-এর ওপরে, একজনের বয়স ৪৫ এবং আরেকজনের বয়স ৫০ ছিল।
পুলিশ জানায়, যেহেতু দুজনের করোনা নেগেটিভ ছিল, তাই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আর বাকি তিনজনের মরদেহ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ধর্মীয় বিধান মেনে দাফন বা সৎকার করা হয় বলে জানিয়েছেন (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিস ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেব। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল কি-না বা অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা ছিল কি-না খতিয়ে দেখা হবে। সে অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের বর্ধিত অংশে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে পাঁচ জন রোগী মারা যান, যারা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে ছিলেন। পাঁচ জনের মধ্যে চার জন পুরুষ ও এক নারী ছিলেন।


বিজ্ঞাপন