দুদকের জালে আটকে যাচ্ছেন ওসি প্রদীপ

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিকে হালদারের ৩৫শ’ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় রোববার ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো ৮ জনকে তলব।
ওসি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আজ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-(দুদক)।
এরা হলেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাসেম, পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জী, নাসিম আনোয়ার ও আবুল হাশেম। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির অপর তিন পরিচালক নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির ও রাশেদুল হক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৪ আগস্ট এবং ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জে কে ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ইরফান আহমেদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে ২৬ আগস্ট।
পিকে হালদারের আত্মসাৎকৃত অর্থের ৩ হাজার কোটি টাকা ১০ আগস্ট দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবে এসব অর্থের লেনদেন হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, বিভিন্ন অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত সম্পদের বেশির ভাগই বিদেশে বিশেষ করে কানাডায় পাচার করেছেন প্রশান্ত হালদার। তিনি নিজেও এখন অবস্থান করছেন বিদেশে। তবে ঢাকায় তার নামে একাধিক বাড়ি, প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে এবং নামে-বেনামে রয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানও। ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথম যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে, তাদের মধ্যে প্রশান্ত কুমার হালদার অন্যতম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বছরের ১৪ নভেম্বর ও চলতি বছরের ১০ আগস্ট হাজির হতে নোটিস পাঠিয়েছিল দুদক। তবে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ৩ অক্টোবর তিনি দেশ ছাড়েন বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পাচারেরও অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে ।


বিজ্ঞাপন