ঢাকার ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা জরিমানা
আজকের দেশ ডেস্ক : রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি এর সার্বিক নির্দেশনায় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর পরামর্শ এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা মহানগরীর টাউনহল বাজার, সাদেক খান কৃষি বাজার, কাঁঠালবাগান বাজার, শুক্রাবাদ বাজার ও নিউমার্কেট বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা ।
এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তদারকিকালে আলু, চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আদাসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশ ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,৯২,০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
তদারকিকালে চাল ,আলু,পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি না করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা বলেন ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়মতান্ত্রিক ও নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনাকে এ অধিদপ্তর সবসময়ই স্বাগত জানায়।
কিন্তু অসাধু ও অনৈতিক যে কোন কাজের ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে।
ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে দেশব্যাপী অধিদপ্তরের অভিযান চলছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি অভিযান: রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মহোদয়ের অর্পিত ক্ষমতাবলে নীলফামারী জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় নীলফামারী জেলা কার্যালয় কর্তৃক সহকারী পরিচালক মোঃবোরহান উদ্দিনের এর নেতৃত্বে সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর বাজার ও চৌমুহনী বাজার এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যের জন্য ৩ টি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৬০,০০০/-জরিমানা করা হয় ও সতর্ক করা হয় । অভিযানের সময় দোকানীদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনা-বেচা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ অভিযানে সহযোগিতা করে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ অহিদুল হক ও RAB 13 CPC 2 নীলফামারী। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বরিশাল জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি অভিযান।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহার অর্পিত ক্ষমতাবলে ও জেলা প্রশাসক, বরিশাল স্যারের সার্বিক নির্দেশনায় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কর্তৃক পরিচালিত বাজার তদারকিমূলক অভিযানে বিসিক শিল্প এলাকা এবং বেলতলা বাজার এলাকায় পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ না থাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ০২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৪,৫০০/- টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযান চলাকালে বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।অভিযান চলাকালে চাল, ডাল,আলু,পিঁয়াজ,রসুন,আদাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য তদারকি করা হয়।উপস্থিত ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন বিসিসি এর স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জনাব রাসেল সিকদার এবং কাউনিয়া থানা পুলিশের একটি টিম। জনস্বার্থে বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নেত্রকোণা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি অভিযান : রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ও জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কর্তৃক পরিচালিত বাজার তদারকিমূলক অভিযানে নেত্রকোণা সদর উপজেলার বড় বাজার ও শহীদ মিনার রোড এলাকায় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদবিহীন পণ্য বিক্রি করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ০২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫,০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযান চলাকালে চাল, ডাল,আলু,পিঁয়াজ,রসুন,আদাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য তদারকি করা হয়।উপস্থিত ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন জেলা বাজার কর্মকর্তা আজমল হোসাইন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ছিলেন নেত্রকোনা জেলা পুলিশ লাইনের একটি টিম। জনস্বার্থে বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের বাজার অভিযান রিপোর্ট: রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(অতিঃ সচিব) মহোদয়ের অর্পিত ক্ষমতাবলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: শামীম হোসেনের নেতৃত্বে নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার বাইপাস,ভবানীপুর ও পার নওগাঁ এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে ।
উক্ত বাজার অভিযানে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য করায় ০৪ টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর অধীনে ৩৪,০০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ লক্ষাধিক টাকার নারিকেল তেল, নীল, পঁচা তেতুল ধ্বংস করা হয় । এছাড়াও কোল্ড স্টোরেজ এ আলুর দাম যাচাই করা হয় ।
এসময় জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ।
সহযোগিতায় ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও জেলা বাজার কর্মকর্তা ।
সহযোগিতায়: নওগাঁ পুলিশ লাইনের চৌকষ টিম ।
জনস্বার্থে এ কার্যক্রম চলতে থাকবে ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, রাজশাহী স্যারের সার্বিক সহযোগিতায় উপপরিচালক জনাব অপুর্ব অধিকারী ও সহকারী পরিচালক মোঃ হাসান-আল-মারুফ এর নেতৃত্বে রোববার রাজশাহী মহানগরের হড়গ্রাম বাজারে মনিটরিং করা হয়েছে। মনিটরিংকালিন দেখা যায় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় হচ্ছে।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের বাজার তদারকি : রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের অর্পিত ক্ষমতাবলে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে খুলনামহানগরীর সোনাডাঙ্গা ও বয়রা এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় হোটেল, ফার্মেসি ও মুদি দোকানের পাশাপাশি পিঁয়াজ, আলু এবং চালের বাজার তদারকি করা হয়েছে এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য সম্পাদনের অপরাধে ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে। উপস্থিত ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনমূলক লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণের পাশাপাশি ব্যাবসায়ীদের ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সিলেট জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকিঃ রোববার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনা ও জেলা প্রশাসক, সিলেট মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম মাসুদ-এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার শেখঘাট এলাকায় তদারকি করা হয়। এ সময়ে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যের জন্য ০১টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৩০০০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। তদারকিকালে ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা টানানো ও নিয়মিত হালনাগাদ করা এবং ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযানে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন র্যাব ৯ এর একটি টিম। জনস্বার্থে এরুপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বরগুনার আমতলীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান : রোববার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের অর্পিত ক্ষমতাবলে ও জেলা প্রশাসক, বরগুনার তত্বাবধানে বরগুনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অ:দা:) জনাব মোহাম্মদ সেলিম এঁর নেতৃত্বে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার এ কে স্কুল রোড, ৪ নং ওয়ার্ড, সদর রোড ও পুরান বাজার এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনজনিত কারণে মহাপরিচালক মহোদয়ের অর্পিত ক্ষমতাবলে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯ অনুযায়ী ২৩,০০০/- ( তেইশ হাজার ) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এছাড়াও চাল,ডাল,আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্য পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি সহ ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়।
সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা প্রশাসন, বরগুনা, আমতলী পৌরসভার মেয়র জনাব মতিয়ার রহমান মহোদয়, উপজেলা প্রশাসন, আমতলী, RAB- ৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা) ,ক্যাব, সেনেটারী ইন্সপেক্টর সাবেরা পারভীন ও পৌর সেনেটারী ইন্সপেক্টর মো: কবীর হোসেন এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ।
জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।