ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভালো অবস্থায় আছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা ভালো অবস্থায় আছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রোববার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনসমূহ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য জুমে অনুষ্ঠিত ৭ম আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু কি কি কারণে আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি সেটা আমরা অবজারভেশনে রাখছি। আগামী দিনগুলোতে কোনো চ্যালেঞ্জ আসলে কিভাবে আমরা সেটা ফেইস করব তা চিন্তা করছি। তবে স্পেসিফিকলি মশা মারার ঔষধের ঘাটতির কথা কেউ বলেনি। হেলথ সেক্রেটারি ছিলেন, হেলথের ডায়রেক্টরও ছিলেন; তাদের কাছে যে প্রতিবেদন আছে সে প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা বলেনি যে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে।
মন্ত্রী জানান, ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত চারজন মারা গেছে বলে তারা শুনেছেন। এরমধ্যে একজন শুধুমাত্র নিশ্চিত হওয়া গেছে, কিন্তু বাকি তিনজনের সম্বন্ধে তারা এখনো নিশ্চিত না। তারা পরবর্তীতে নিশ্চিত হয়ে আমাদের জানাবেন।
ডেঙ্গুর সিজন আসলেই অভিযান হয়, এ বিষয়ে আপনার কি নির্দেশনা ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃথিবীতে মশামুক্ত কোনো দেশ আছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা ১২ মাসই যাতে ভ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করি সে বিষয়ে নির্দেশনা ছিলো। ১২ মাসই ডেঙ্গুর ভ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করব। এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি নির্দেশনা দেওয়ার তো বিষয় নেই। তবে সিটি করপোরেশন মশা মারবে। কিন্তু আপনার বাসায় যদি আপনি মশা প্রজনন করেন তাহলে সিটি করপোরেশনকে দায়ী করার পূর্বে আপনি নিজেই দায়ী থাকবেন। আপনি তো অন্য নাগরিকের জীবন অতিষ্ঠ করতে পারেন না। নাগরিক তার নাগরিকত্ব ভোট করতে গিয়ে বা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে অন্যদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে না। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা মানুষকে সচেতন করছি। সবাইকে সবাইকে সতর্ক করেছি, তাৎক্ষনিক কাউকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বর্জ্য যেখানে থাকুক না কেনো সেটা সিটি করপোরেশনের অপসারণ করার জন্য দায়িত্ব আছে। ফলে অতীতের তুলনায় শহর অনেকটা পরিচ্ছন্ন। আমাদের যে অর্জন রয়েছে সেটি নিয়ে সবাই যদি স্ব স্ব জায়গায় কাজ না করত তাহলে সফলতা আসতো না। মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের দায়িত্বটা আমরা পালন করছি।
মন্ত্রী জানান, সভায় মেয়ররা তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। সঙ্গত কারণে সময়ে সময়ে তাদের টাকা পয়সা দিয়েছি, পরামর্শ দিয়েছি, পরিকল্পনা দিয়েছি সেজন্য তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। একটি বিষয়ে তারা বলেছেন এগ্রিকালচারের জন্য ব্যবহৃত কীটনাশক আমদানি শুল্কের হারের চেয়ে মশক নিধনের কীটনাশক আমদানি শুল্কের হার অনেক বেশি। আমি লিখিতভাবে তাদের বিষয়টি উপস্থাপন করতে বলেছি। আমরা রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করব বিষয়টি যৌক্তিক করার জন্য।


বিজ্ঞাপন