ধরাছোঁয়ার বাইরের দন্ডিত ১০ আসামি

অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয়

চার নেতা হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলখানার ভেতর জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যার ৪৫ বছর পার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরের দন্ডিত ১০ আসামি। দু’জন বাদে পলাতক বাকি ৮ আসামির অবস্থান চিহ্নিত করতে পারেনি সরকার। এ কারণে খুনিদের সাজা কার্যকর করা যাচ্ছে না বলে জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল। অবশ্য আইনমন্ত্রী জানান, পলাতকদের দেশে ফেরত আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় ৪ নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যার পরদিনই থানায় মামলা হলেও তদন্ত থেমে থাকে পরের ২১ বছর।
২৯ বছর পর নিম্নআদালত ২০০৪ সালে খুনিদের ৩ জনকে মৃত্যুদ- ও বাকি ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। ততোদিনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায় ঘাতকরা।
২০০৮ সালে হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২ জন, আর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৪ আসামি খালাস পেয়ে যায়। রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর ২০১৫ সালের আপিল বিভাগ পুনরায় ৩ আসামির মৃত্যুদ-দেশ বহাল রাখেন।
চলতি বছর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দায়ে এ মামলার আসামি আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদ- কার্যকর হলেও বিদেশে পলাতক বাকি ১০ আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা জানান, বহু বছর বিচারকাজ স্থগিত থাকার সুযোগ নিয়ে আসামিরা পালিয়ে যাওয়াতে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর কঠিন হয়ে পড়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমির উদ্দিন বলেন, তারা কিন্তু ওই দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গেছে। এর ফলে তাদের নিয়ে আসতে হলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যেতে হচ্ছে। এখনও সেই আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পলাতক ২ আসামির দেশে ফেরত আনার বিষয়ে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এদের ফিরিয়ে না আনতে পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত এদেরকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলবে।
জেল হত্যার ঘটনায় নেপথ্যের চালকদের চিহ্নিত করে একটি কমিশন গঠনের কথা থাকলেও সেটি আজো আলোর মুখ দেখেনি।


বিজ্ঞাপন