নিজস্ব প্রতিনিধি : খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মোংলা বন্দরসহ তার চারপাশে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তার সবকিছুরই অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনিই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দরকে ঘিরে নানা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করেছেন। মোংলা বন্দরের আউটারবারের ড্রেজিং হওয়ার কারণেই এখন বন্দরে সরাসরি বড় বড় জাহাজ আসছে। এছাড়া বন্দর জেটিও জাহাজে পরিপূর্ণ থাকছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছার কারণেই। তিনি আরো বলেন, এ বন্দরকে আরো ব্যস্ততম করার উদ্দেশ্যে তার আমলেই তিনি এখানে ইপিজেড নিমার্ণ করেছেন। বর্তমানে চলছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকান্ডও।পাশাপাশি বন্দরকে অধিকতর গতিশীল করতে মোংলা-রামপালে মাঝামাঝি স্থানে ফয়লায় খান জাহান আলী বিমান বন্দরের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত গতিতে চলছে খুলনা-মোংলা রেল লাইনের কাজও। এছাড়া পদ্মা সেতুতে আর মাত্র তিনটি স্প্যান বসানো বাকী রয়েছে। বাকী স্প্যানঝ বসানোর পর এ সেতু চালু হলে এ বন্দরের কর্মচাঞ্চ্যতা আরো বেড়ে যাবে। মোংলা বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যৎতে অর্থনীতিকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে এ বন্দর। তাই তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবাণ জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বন্দর শ্রমিক কল্যাণ চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি পৌর শহরের পুরাতন বন্দর এলাকার বিলুপ্ত ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড কম্পাউন্ডের ভিতরে শ্রমিক-কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য নির্মিত নতুন চিকিৎসা কেন্দ্রের নাম ফলক উম্মোচন করেন। এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, পরিচালক (প্রশাসন) গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সেন্টু, বন্দর ব্যবহারকারী মশউর রহমানসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, এই চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রটি উদ্বোধনের কারণে মোংলা বন্দরে আগত জাহাজের পণ্য বোঝাই ও খালাস কাজে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাবেন। বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও চাওয়া ছিল তাদের জন্য এটি হাসপাতালের, শ্রমিক কল্যাণ চিকিৎসা কেন্দ্রটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে আমরা তাদের সেই প্রত্যাশা ও স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড বিলুপ্তির পর ২০১০ সাল থেকে বন্ধ থাকে শ্রমিকদের হাসপাতালটিও। শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবীর প্রেক্ষিতেই পুনরায় দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর হলেও আবারো শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবার জন্য নতুন এই সেবা কেন্দ্রটি চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।