রাজাকার ও আলবদরের সকল অপপ্রচার ধ্বংস হয়ে যাবে

জাতীয়

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বসানো হবে দোলাইরপাড়। ৭ ই মার্চ, ১৯৭১ রমনা রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় ব্যাবহারিত মঞ্চ, টেবিল, মাইক ও ভাষনরত বঙ্গবন্ধুর ছবি একত্রিত করে তৈরি করা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি বসানো হবে দোলাইরপাড় গোলচক্করে। এই দোলাইরপাড় থেকে পদ্মা সেতু মহাসড়কে প্রবেশ করবে দেশ-বিদেশের মানুষ। তখন এই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বলে দিবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী ও তাদের দুসর কুখ্যাত রাজাকার ও আলবদর কর্তৃক ৩০ লক্ষ বাঙালির রক্ত হরণ ও ৫ লক্ষ বাঙালি নারীর ইজ্জত লুন্ঠন,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ইতিহাস। এই ভাস্কর্যটিকে হিন্দু ধর্মের দেবতা’র মূর্তি বলে প্রচার করছে এবং ভেঙে ফেলা ও ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিতেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও চরমোনাই ঐক্যজোট। তাদের ভয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য দোলাইরপাড় গোলচক্করে বসানো হলে মুক্তিযুদ্ধে তারা কি করেছিল দেশের প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতে থাকবে এবং তাদের ঘৃণা করবে। সেই কারনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে হিন্দু দেবতার মূর্তি বলে প্রচার করছে। এমনই ভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধারা ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু প্রচার করে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিল, সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিক, এটা মূর্তি নয়। বঙ্গবন্ধু মানে চেতনা, বঙ্গবন্ধু মানে বাঙালির অস্তিত্ব, বঙ্গবন্ধু মানে লাল-সবুজের পতাকা, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। কেউ যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবজ্ঞা করে, তার ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়-তখন আমি শংকিত, বিস্মিত হই। এত সাহস রাজাকার ও আলবদর পায় কোথায়? বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিষয়টি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে এবং পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান মনে করিয়ে দিতে প্রচার কাজটি করতে হবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে- রাজাকার ও আলবদরের সকল অপপ্রচার ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ– বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শামশুজ্জামান বাবুল, সহসভাপতি, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগ, ঢাকামহানগর দক্ষিণ ও কমান্ডার, শ্যামপুর থানা কমান্ড, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন টুআইসি (ডেপুটি কমান্ডার), কাজী কামাল-এমএ রশিদ গ্রুপ, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর ঢাকাস্টুডেন্ট কোম্পানি, দুই নম্বর সেক্টর, ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ।


বিজ্ঞাপন