শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে মুখ থুবড়ে পড়েছে কার্যক্রম

শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাসখানেক ধরে নিষ্প্রাণ হয়ে আছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। অভিভাবক না থাকায় শিক্ষা খাতের উন্নয়নে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানটির এ বেহাল অবস্থা। একই কারণে উন্নয়ন যজ্ঞ স্থবির হওয়া ছাড়াও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার গত ১৮ নভেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে গেছেন। এর পর থেকেই শীর্ষ এ পদটি শূন্য হয়ে আছে। নতুন করে কাউকে দায়িত্ব প্রদান কিংবা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। ফলে দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম ছাড়াও উন্নয়ন কর্মকা-ে এর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে ফান্ড বরাদ্দ বন্ধ থাকায় চলমান অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
অন্যদিকে নতুন উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে আছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাদি ছাড়করণসহ আনুষঙ্গিক প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এতে করে অনেকেই দুঃসহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষা খাতের উন্নয়নে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে রূপকল্প ২০২১ এর আওতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুগোপযোগি ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধাসহ ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র সরবরাহের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অথচ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্ব কতটুকু সেটি এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বর্তমানে যিনি আছেন তাকে কন্ট্রাক্ট সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমরা একটা ফাইল পাঠিয়েছি। ওই ফাইলটা এখনো আমাদের কাছে আসেনি। আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন