বিশেষ প্রতিবেদক : ধান-চাল ক্রয় অভিযান নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা রংপুরে। নির্ধারিত সময়ের তিন সপ্তাহ পর ক্রয় অভিযান শুরু করে গত দুই দিনে মিলারদের কাছ থেকে সংগ্রহ হয়েছে ৫০ মেট্রিক টন চাল। অথচ মাঠভরা ধান নিয়ে হতাশায় বিপর্যস্ত কৃষকের একদানা ধানও নেয়া হয়নি ‘কৃষকের তালিকা’ না পাওয়ার অজুহাতে। কিন্তু কৃষি বিভাগ বলছে তালিকা দেয়া হয়েছে। আরেক দিকে উৎপাদন অনুপাতে জেলা কোটায় যৎসামান্য সংগ্রহ টার্গেট নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও অন্য জেলা থেকে আনা চাল গুদামে ঢোকানোর ঘটনা ধরা পড়েছে সময় সংবাদের ক্যামেরায়।
একে তো পানির দাম, তার ওপর যেন পেয়ে বসেছেন ফড়িয়া আর ব্যবসায়ীদের দালালরা। বাম্পার ফলনে ব্যাপক সরবরাহের কথা বলে মণ প্রতি প্রকারভেদে ৪২০ টাকা থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায় ধানের দাম ফেলে দিয়েও যেন শান্তি নেই। কৃষকের হাতে অর্ধেক দিয়ে বাকি রাখছে অর্ধেক টাকা।
একজন কৃষক বলেন, ৪২০ টাকা করে বিক্রি করার পরেও দেয় বাকিতে। অর্ধেক টাকা দেয়, তো অর্ধেক দেয় না।
ক্রয় শুরুর দুই দিনে ৫০ মেট্রিক টন চাল কিনলেও কৃষকের ধান নেয়া শুরু হয়নি। কারণ হিসাবে খাদ্য বিভাগ কৃষকের তালিকা না পাওয়ার অজুহাত দিলেও কৃষি বিভাগের দাবি উপজেলা থেকে অনেক তালিকা আগেই দেয়া হয়েছে।
তথ্য কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, কৃষকের তালিকাটা অনেক জরুরি। কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তালিকা পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. সরোয়ারুল হক বলেন, কৃষক তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।