বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীতে চলাচলকারী বেপরোয়া মোটরসাইকেল নগরবাসীর কাছে এখন রীতিমত আতঙ্ক। চাহিদা থাকায় গেলো কয়েক বছরে ঢাকার রাস্তায় জ্যামিতিক হারে মোটর সাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে। সংগে পাল্লা দিয়ে সড়কে এলোমেলো চলাচল আর মোড়ে মোড়ে জটলা, ভোগান্তিতে ফেলছে নগরবাসীকে। এমন অবস্থা নিরসনে বিআরটিএ-কে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
দুই চাকার বাহন মোটরসাইকেল। যানজট এড়িয়ে চলার সুযোগ থাকায় ব্যক্তিগত মাধ্যমটির-ই এখন গণপরিবহনে রূপ পাওয়ার মত অবস্থায়! ব্যক্তিগত বাইকের সঙ্গে ভাড়ায় চলা বাইক যোগ হওয়ায় রাজধানীজুড়ে এখন মোটরসাইকেলের সাম্রাজ্য।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানালেন রাজধানীতে এখন ঢাকায় রেজিস্ট্রেশন করা মোটরসাইকেলের চেয়ে অন্যান্য জেলার মোটরসাইকেল বেশি। দিনভর বিভিন্ন পয়েন্টে সারি সারি দাঁড়িয়ে অঘোষিতভাবে তৈরি করেছে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড। এসব জায়গা থেকে সিএনজি অটোরিক্সার মতো ধরাধরি করে ভাড়ায় ছুটছেন চালকরা।
দ্রুত গন্তব্য গিয়ে নতুন যাত্রী নেয়ার তাগিদ থাকায় আইন না মানার প্রবণতাও বাড়ছে। ট্রাফিক সিগন্যালে আটকালে অনেক সময় উঠে যাচ্ছে ফুটপাতে। আদালতের নির্দেশ ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নানা উদ্যোগের পরও বেপোয়ারাদের থামানো যাচ্ছে না। গেল তিন বছরে ঢাকার রাস্তায় মোটরসাইকেলে সংখ্যা বাড়ার চিত্র পাওয়া যায় বিআরটিএ’র তথ্যে। সরকারি সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে ২০১৬ সালে ৫৩ হাজার ৭৩৮টি, ২০১৭ সালে ৭৫ হাজার ২৫১টি, আর ২০১৮-তে এক লাখ চার হাজার ৬৪টি বাইকের নিবন্ধন দেয়া হয়।
বিআরটিএ জানিয়েছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাইকগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বাইরে নিবন্ধিত মোটর সাইকেলগুলোকে রাজধানীর রাইড শেয়ারিং-এ যুক্ত করা যাবে না।