বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ধাপে ধাপে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে জানালেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং। সেনা অভ্যুত্থানের পর সোমবার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণ দেন তিনি। এসময় স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।
মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং লাইং বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি ও আমাদের নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়াদের ফেরাতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আমরা অব্যাহত রাখবো।
মিন অং হ্লাইং বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে। স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন নি তিনি। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সংস্কারের ঘোষণাও দেন মিন অং হ্লাইং।
এদিকে, সোমবার মিয়ানমারের সাত শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, মিয়ানমারের জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-সমাবেশের অধিকারের পক্ষে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, নিজেদের আকাশসীমায় বিমান চলাচলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে মিয়ানমার। সোমবার দেশটির সিভিল এভিয়েশন এক চিঠিতে এই ব্যাপারে অবহিত করেছে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনকে।
ফলে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের আকাশসীমা ব্যবহার করে যেসব বিমান থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যায় তারা মিয়ানমারের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে কোনো ধরনের রাডার সার্ভিস বা নির্দেশনা পাবে না।
এ প্রসঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রাডার ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সার্ভিস বন্ধের কোনো কারণ উল্লেখ করেনি দেশটি। আপাতত সব দেশের সঙ্গেই তারা বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমার আকাশসীমা অতিক্রমকারী সব বিমানকে বাংলাদেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিট থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সার্ভিস প্রদান করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।