নিজস্ব প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ১১ নং হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক এলজিএসপি ও টিআরসহ বিভিন্ন প্রকল্পে লোক দেখানো দুই একটি কাজ করে ৬৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোঃ নূর আলম এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টিম সরেজমিন অভিযানে উপস্থিত হয়ে এলজিএসপি ও টিআর এর আওতায় নির্মাণাধীন প্রকল্পসর্মুহ পরিদর্শন করে এবং প্রকল্প কাজের সঠিকতা ও গুনগত মান যাচাই বাচাই করে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য যে প্রাক্কলন ও স্পেসিফিকেশন রয়েছে এবং কাজ করার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত ও নিদের্শাবলী রয়েছে; তা যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে কি-না; সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কার্যালয় হতে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করবে দুদক টিম। তবে, কাজ নির্ধারিত সময়ে যথাযথ নিয়ম ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সঠিক ও মানসম্মত উপকরণ দিয়ে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অনিয়ম দুর্নীতি রোধে দুদক টিমের এরূপ সরেজমিন অভিযানে স্থানীয় উপকোরভোগী জনগন অত্যন্ত সন্তোষ করে। প্রকল্পসমূহের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যায়ের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি-না; সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার কার্যালয় হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক বিস্তারিত পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।
এছাড়া, ফরিদপুর জেলাস্থ বোয়ালমারী উপজেলাধীন চতুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারীর আবেদন গ্রহণ, খাজনা আদায়ে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে ১০/২০ গুন বেশি হারে গ্রাহকদের নিকট থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক, সজেকা, ফরিদপুর-এর উপসহকারী পরিচালক জনাব সৌরভ দাশ-এর নেতৃত্বে থেকে ১০-০২-২০২১ খ্রি. একটি অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টীম গোপনে চতুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বরত তহশিলদার, পিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারি আবেদন কেস গ্রহণ শাখায় নজরদারী করে। অভিযানকালে মো: দেলোয়ার হোসেন, অফিস সহায়ক, উপজেলা ভূমি অফিস, বোয়ালমারীকে একজন গ্রাহকের নিকট থেকে নামজারী কেসের মিমাংসার জন্য নগদ ৬,০০০/- টাকা গ্রহনে সময় হাতেনাতে আটক করে। পরবর্তিতে বিষয়টি সহকারি কমিশনার (ভূমি)-এর এর মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বোয়ালমারীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। দুদক টিমের হাতে ধৃত মো: দেলোয়ার হোসেন-কে তাৎক্ষনিকভাবে বদলীর আদেশসহ সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা তিনি নিশ্চিত করেন। এছাড়া, ০৫ টি নামজারী আবেদনে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত হারে অর্থ নেওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।