নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ২০ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। শনিবার সকালে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এর উদ্বোধন করেন।
তথ্য মতে, আরিচা-কাজিরহাট ফেরি রুটের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। আরিচা থেকে কাজিরহাট যেতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টা, কাজিরহাট থেকে আরিচা আসতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট। একটি বড় ফেরি (রো রো) এবং দুটি মাঝারি ফেরি দিয়ে এই রুটের সার্ভিস শুরু হয়েছে।
রুটে বড় বাসের ভাড়া ২০৬০, ট্রাকের ভাড়া ১৪০০, মাইক্রোবাসের ভাড়া ১০০০, কার গাড়ির (ছোট) ভাড়া ৬৮০, মোটরসাইকেলের ভাড়া ১০০ এবং যাত্রীর ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৩ সালের ৩১ মার্চ কর্ণফুলী নামের একটি ফেরি দিয়ে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। এরপর ওই নৌরুটে যুক্ত হয়েছিল ছোট বড় মিলে ২৮টি ফেরি।
১৯৯৭ সালে যমুনা সেতু উদ্বোধনের পর গুরুত্ব কমতে থাকে আরিচা ঘাটের। পদ্মা-যমুনার নাব্য সংকট ও দূরত্ব কমানোর জন্য ২০০১ সালের ২২ ফেরুয়ারি আরিচা থেকে পাটুরিয়ায় স্থানান্তর করা হয় ফেরি সার্ভিস।
সর্বশেষ ২০০২ সালের ১৫ নভেম্বর আরিচা ঘাট থেকে শেষ দুটি পন্টুন পাটুরিয়া ঘাটে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের ফেরি চলাচল।