নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে পহেলা মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
শনিবার সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা।
এছাড়া একই দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এছাড়া আগামী ৩ মার্চ সকাল ১১টায় দলমত নির্বিশেষে প্রেসক্লাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ পদযাত্রা করবেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান রিচার্ড, ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব হোসেন, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি সৈকত আরিফ, খুলনা জেলার আহ্বায়ক আল-আমিন।
এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার বন্দিদের মুক্তিসহ তিনদফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এই প্রগতিশীল ছাত্র জোট। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন’ করেন তারা।
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ : বিক্ষোভ মিছিল টিএসসি থেকে বের হয়ে শাহবাগ হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সাকুড়া পয়েন্ট ঘুড়ে শাহবাগে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে, ‘জেলের তালা ভাঙবো, বন্দিদের আনবো,’ ‘এরশাদ গেছে যে পথে, হাসিনা যাবে সে পথে’ বলে স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক দিপক শীল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, রাশেদ শাহরিয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনসহ সংগঠনটি প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।
শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে তারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পহেলা মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেনা তারা। এছাড়া ৩ মার্চ সকাল ১১টায় দলমত নির্বিশেষে প্রেসক্লাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ পদযাত্রা করবেন তারা।
পহেলা মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা
বিক্ষোভ সমাবেশে তারা তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন, লেখক মুশতাকের হত্যার বিচার চাই; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কার্টুনিস্টসহ যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। এছাড়া গতকাল মশাল মিছিলে গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্তে মুক্তির বাদি জানায় তারা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, দেশে মানুষের মত প্রকাশের উপর একটা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নেমে এসেছে। তার একটা চূড়ান্ত ফল দেখলাম, গত পরশু কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যু।
তিনি বলেন, একের পর এক পুলিশি হামলা করে, লাঠি মেরে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। এসব করে যদি আপনি মনে করেন জনগণকে দমিয়ে রাখবেন, তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে জেলায় জেলায় কারাগারে অবস্থান করবে।